লিপ্সিং করো। ভাড়া খাটো। খ্যাপ দাও। দশকুড়িতে একটি। বড়জোড় দুটো খ্যাপ। আধুলি,আনা,পাই। ঝনঝনে মাটিব্যাংক। তারপর বারোমাস লংমার্চ।
দারুচিনি টু পিঁপিরোড।
এই আকালে সেকেলে হয়ে থাকবে কেনোগো চিনির দল? পিঁপড়েদের এখন কারফিউ। নো অ্যাকশান!
বলি, চিনি কি বসে থাকবে? দৌড়ে না পারো হাটো মানিক। শাদা মানিক আমার। হাটো দেখি। তারপর ম্যারাথন! কি ভাবছো ? চিনি আগে না গুড় আগে? প্রশ্ন করিনি! শুনেছোতো ফেঁসেছো ! সেকি! দরদর করে করে ঘামছো দেখি! শরবত হয়ে যাবেগো চিনিরহাট! চিনি না শোনে জলের কাহিনি। অনশন বলে কথা। নো ওয়াটার, ওনলি স্যালাইন। আখের ব্যাপারি খায়না পানশুপারি।
পিঁপড়ের ধন এবার খাবে চিনিমহাজন। আতকে উঠলে যে! এত ভাবনার কি আছে চিনিভায়া! কখনো বস্তাবন্দি, কখনো ধুলোয় বেসামাল, কখনোবা মিঠাই মন্ডার ঘাড়ে চেপে মেলার মাঠ। এটুকুই কি তোমার দৌড় ?
চল এবার পিঁপড়েপাড়া। ওঠো ভায়া। এবার হবে তোমাদের সৌখিন উদরপূর্তি! চিনি খাবে পিঁপড়েভাজা, কি মজা কি মজা!
ডানে মোড় ঘুরে বাদিকে ইয়া বড় একটি ঘড়ি। ওখানে ফুলস্টপ। ঘড়ি দেখো। সময় টুকে নাও। ঘরে ফিরতে হবে ঠিকঠিক। মনে আছেতো?
এটি ডাক্তারবাড়ি। চিনে নাও ।যদি হয় জ্বর। হতেও পারে সুখের অসুখ। ওদিকে নয়। ওরা উড়তে জানে মধুবন। ভুল পথে নিয়ে যাবে মৌমাছি। চিনি আর মধু মিলেমিশে কি ছিলে কখনো?
আরো কিছুটা পথ। এইতো আরো একটি সাকো। আরো একটি সূর্যাস্ত। তারপর গন্তব্য। দেখে নাও লালিমা আকাশের গায়ে।
সাড়াশব্দ নেই এ সীমানায়। এটাই পিঁপড়েপাড়া। ওদের এখন কারফিউ। নো অ্যাকশান।
চমকে দাও। সদলবলে ঢুকে পড়। লেঠেল বাহিনী এগিয়ে যাও। প্রতিশোধ। নাও প্রতিশোধ! এক,দুই,তিন। আধুলি,আনা,পাই।
এ মৌসুমে, চিনির পাহাড়ভাঙা ঢেউ এ ভেসে যাক পিঁপড়েদল!
লোভী হোক মোরগ। ঝুঁটিওয়ালা। লোভী হোক ইঁদুর। শাদা শাদা। শেয়ালগুলো বিড়াল হয়ে যাক!
(মুক্তগদ্য -- ২১শে বইমেলা ২০১৪ এ প্রকাশিত)