আপনাদের মনে আছে গত বারো জুনের তথাকথিত আঠারো দলের মহাসমাবেশের কথা, সেখানে জাগপার প্রধান দেওয়ানে আজম, উজিরে প্রধান, শফিউল আলম প্রধান জিহাড়ি জোসে খালেদার উপস্থিতে বলেছিলেন, তিলকওয়ালী ভারতের মুখ্য মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই না। একটু দেরি করে হলেও শফিউল আলমের সেই কথার যথার্থ প্রমাণ হাতে কলমে মিলেছে। যাইহোক, ধন্যবাদ শফিউল আলম কে খাটি বাংলায় একহান খাটি কথা বলার জন্যে।
প্রিয় পাঠক সমাজ, আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন, আমাদের সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন ভারতে অবস্থান করছেন। সেখানে উনি ইতিমধ্যে প্রণব পূজা, মনমোহন পূজা, সুষমা স্বরাজ পূজা, সোনিয়া পূজা, করেছেন অত্যান্ত সফলতার মাঝে, পশু কুরবানির পরে নিজেকে কুরবানী দিলেন ভগবানের কাছে যেখানে মূল প্রাতিপাত্য চাওয়া ছিল, আগামীতে নির্জঞ্ঝাটে বাংলার ক্ষমতায় ফিরে আসার। বলা যাচ্ছে না, ভগবানরা সেই পুজো গ্রহণ করেছেন কিনা, তবে জেলখায় বসে গুয়াজম, নিজামী, মুজাহিদরা তাদের ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছে চল্লিশ রাকাত নফল এবাদত করে যাতে দিল্লির ভগবানেরা খালেদার এই পুজো গ্রহণ করে। কেন নয়, দিল্লির ভগবানের হাতে এখন গুয়াজম, নিজামী, মুজাহিদদের গোয়ায় বাশের অবশিষ্ঠ অংশ। আর তাই নফল এবাদত করবো না, জেলখানায় বসে বাল ছিড়বো ? ওই দিকে যদি খালেদার পুজো দিল্লির ভগবানেরা গ্রহণ না করে তাহলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আর দামী মেকাপের আস্তরণ খালেদার গাল স্পস করবে না, শরীরে উঠবে না দামী শিফন শাড়ি, ভ্রু তে ধরে যাবে আগাছা। আর তাই খালেদার এইপুজ খালেদার জন্য যথেষ্ঠ গুরত্ত্বপূর্ণ এতে দেশের মানুষের কোনও উপকার থাকুক বা না থাকুক।
কিন্তু খালেদার আজমির শরীফের গল্প হলো কিছুটা অন্যরকম, আজমীরে হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির মাজার জিয়ারত ছিল লোক দেখানো যতটুকু জানতে পেরেছি, ভারতের রাজস্থানের মধ্যের পড়েছে এই আজমির শরীফ আর রাজস্থানের রাজধানী হলো হাসিনার পুত্র জয়ের প্রথম দুই অক্ষর দিয়ে অর্থ্যাত জয়পুর। এখন খালেদার কথা হলো আমার সাথে যেহেতু ইন্ডিয়ান সরকারের এত দেনদরবার হয়েছে, আমি বলেছি আমি ক্ষমতায় গেলে ইন্ডিয়ারে সবকিছু তে ছাড় দিমু, প্রয়োজনে ভগবানদের খুশির জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিমু ভগবানের তরে তাহলে জয়পুর কেন হাসিনার পুত্রের নামে থাকবো ? আমার এত্ত সুন্দর একটা পুত্র থাকে আর তাই জয়পুর এর পরিবর্তন নাম পরিবর্তন করে তারেকপুর রাখা হউক। আর তাই ম্যাডাম আজমীরে হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির মাজার জিয়ারত করে শহরটি দেখতে গিয়েছেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি মুখপাত্র মৌদুদ মিয়া।
@সুলতান মির্জা।