জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদ পাওয়া আর চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজীসহ আর্থিক লালসায় নেতা, পাতি-নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যেও আদু ভাইয়ের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অছাত্রদের বিরুদ্ধে একাধিকবার ব্যবস্থা নিলেও একটি বিশেষ অঞ্চলের এবং বিশেষ গ্র“পের হওয়ায় এসব আদু ভাইরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতা-কর্মীরা যেমনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে তেমনি প্রশাসনকেও আদু ভাইদের নিয়ে বারবার বিতর্কিত হতে হচ্ছে।
জানাগেছে, বর্তমান উপাচার্য ২০০৯ সাথে ফেব্র“য়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রায় দশ বারজন আদু ভাইকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে। কিন্তু গত এক বছরে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে আবারও পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাম্পাসে থেকে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাত্রলীগের বর্তমান স্থগিত কমিটি সহ-সভাপতি নেয়ামুল পারভেজে’র মাষ্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর পূর্বে। কিন্তু সে এখনো মৌখিক পরীক্ষা না দিয়ে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রেখেছে। ওই কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক সরকার আজগর আলী’র শিক্ষা বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছর। ওই সময় সে পরীক্ষা না দিয়ে পরের বর্ষের সাথে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবারও সে মৌখিক পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাম্পাসে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বঙ্গবন্ধু হলের পদহীন ছাত্রলীগ নেতা এসএম শামীমের শিক্ষা বর্ষের মাষ্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। সেও বহাল তবিয়তে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রেখেছে। একই হলের আরেক পদহীন নেতা শরিফুল ইসলামের মাষ্টার্স পরীক্ষা এবং ফলাফল প্রকাশ হয়েছে এক বছর পূর্বে। ছাত্রত্ব না থাকার পরেও সে হলে অবস্থান করছে। ছাত্রত্ব শেষ হবার পরেও এসব আদু ভাইরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করায় এক দিকে জুনিয়ারদের মধ্য থেকেও নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না অন্যদিকে নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কয়েকদিন পূর্বে ক্যাম্পাসে আজগর-পারভেজের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। এসব অছাত্র ও আদুভাইয়ের মধ্যে সরকার আজগর আলী ছাড়া আর সবার বাড়ি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবিরের অঞ্চলে। অন্যান্য নেতাকর্মীদের অভিযোগ, উপাচার্য অন্যদের ক্ষেত্রে কঠোর হলেও এদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকেন। এজন্য উপাচার্যকে বারবার বিতর্কিত হতে হচ্ছে। এবিষয়ে ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন ও সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্য বলেন, ‘প্রশাসনের মদদপুষ্ট হয়ে তারা ছাত্রত্ব না থাকার পরেও ক্যাম্পাসে থেকে চাঁদাবাজী টেন্ডারবাজী করে যাচ্ছে। অন্যদিকে আমরা বৈধ ছাত্র হবার পরেও ক্যাম্পাসে যেতে পারছি না। আর ছাত্রলীগের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা ছাত্রত্ব ফিরে পাচ্ছে না।’ এবিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন