মূল লেখাঃ Click This Link
লেখায় উল্লেখযোগ্য অংশ হল, খালেদ মোশারফের বিরুদ্ধে কর্ণেল তাহেরের দ্রুতগতিতে প্রোপাগান্ডা চালানো এবং তাঁকে ভারতের দালাল বলে সবার সামনে তুলে ধরা। এর আরেকটা অর্থ দাঁড়ায় যে কর্নেল তাহের অনেক আগে থেকেই জানতেন একটা ১৫ আগস্ট হবে এবং শেখ সাহেবকে হত্যা করা হবে। এইটা তাঁর ভাইয়েরাও জানতেন, তার দলের সাঙ্গোপাঙ্গরাও জানতেন। তিনি শেখ সাহেবকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন, খন্দকার মোশতাককে সাহায্য করেছিলেন এবং চাইছিলেন শেখ সাহেবের অপসারনের পরে এইদেশের পাকিস্তানীকরণটা যেন পাকাপোক্ত ভাবে হয়। যদিও উনার চামুচরা (আনোয়ার হোসেন এবং ইনু গংরা) এখন মিথ্যা কথা বলে। যে কারণে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে চলমান রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা না করে সময় সময় তা উস্কে দিয়েছেন। রাষ্ট্রবিরোধীতার কারণে তাঁকে ফাঁসীতে ঝোলানোর অনেক যুক্তির একটা হল তিনি ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে জনগণের রায় পাওয়া একটি বৈধ ও প্রতিষ্ঠিত সরকারকে উতখাতের চেষ্টা করেছিলেন।
জিয়া ভালো লোক ছিলেন, তা লেখক উল্লেখ করেন নাই। উল্টো লিখেছেন, জিয়ার যোগসাজশ ছিল মুজিব হত্যায়, এমন একটা গুজবে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু উনার বর্ণনা এবং অন্য আরো অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা পড়লে বোঝা যায় যে সেই সময় সেনাবাহিনীর উপরের সব অফিসারই প্রায় মুজিব হত্যার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন। জিয়ার কাঁধে দোষ চাপানো হয় এই জন্য যে, আম্লীগকে ক্ষমতা থেকে হটানোর পরে রক্তাক্ত সেই দ্বন্দ্বে জিয়াই শেষ পর্যন্ত জিতে ছিলেন এবং পরে আম্লিগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিম্পিকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
এই লেখার সবচেয়ে বড় দিক হল শফিউল্লাহ সাহেবের স্বীকারোক্তিটুকুঃ 'আমার বাড়ি হলো জাতিসংঘ। আমার কারও জন্য কোনো আদেশ নাই। তোমার যা ভালো লাগে তা করতে পারো।’ তাঁর কথা শুনে লেখক হতভম্ব হয়ে পড়েন। উনি সেনা প্রধান হিসাবে ব্যর্থ ছিলেন। তার প্রমাণ লেখক আরেকবার দিলেন তাঁর লেখার একেবারে শেষে এসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১