মূল সংবাদ
বাঙলাদেশ কর ও মাসুল হিসাবে কত টাকা আয় করবে, তা কিন্তু জানা গেল না। ভারত বলবে ইউরোপে এমন ব্যবস্থা আছে। মনে রাখতে হবে, ইউরোপে যা আছে, তা এক দেশ থেকে দ্বিতীয় দেশের ভেতর দিয়ে তৃতীয় দেশে মালামাল ও যাত্রী পরিবহনের সেবা। বাঙলাদেশের তিন দিকেই ভারত, ফলে এখানে সব হবে ভারত থেকে বাঙলাদেশের ভেতর দিয়ে আবারও সেই ভারতে। ফলে ভারত কোন মাসুল দিতে আগ্রহী হবে কেন? তার উপরে আমাদের সরকারের গা-ছাড়া ভাব আরো উস্কে দিয়েছে ভারত নামের দেশটিকে। ফলে এই ট্রানজিট দিয়ে বাঙলাদেশ কোন লাভ নিজের পক্ষে টানতে পারবে না।
এর সাথে সাথে আরেকটি ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমাদের দেশে যেটুকু অংশে চার-লেন মহাসড়ক আছে, সেখানে ধীর গতির যানবাহন ডান পাশ ঘেঁষে চলে। এটা আমাদের ট্রাফিক আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। আমাদের চালকরা যদিও থোড়াই কেয়ার করেন ট্রাফিক আইনের, কিন্তু বিদেশী যানবাহনের জন্য সেই আইন প্রয়োগ করা হলে আমাদের চালকদের সমস্যা হবে। তাই ট্রানজিট চালুর আগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর উচিৎ হবে উনার সংগঠনের সকলকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য আদেশ করা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯