জয়া আহসান টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।২০০৩ সালে তার প্রথম ছবি ‘ব্যাচেলর’ মুক্তির পর থেকেই চলচ্চিত্রে কাজ করার অফার পেতে শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন। প্রায় একই সময়ে টলিউডে মুক্তি পায় সেখানে তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘আবর্ত’।
অভিনয় শুরুর আগে জয়া নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপর ডিপ্লোমা করেছিলেন এবং আধুনিক সঙ্গীতের ওপর প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। তিনি একটি সংগীত স্কুলও পরিচালনা করেন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে জয়া, মডেল ফয়সালের সহধর্মিণী। সম্প্রতি তাদের বিবাহবিচ্ছেদের গুজব ছড়ালেও তা ভিত্তিহীন বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে
মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা জয়া আহসান অভিনীত গেরিলা ছবিটি ছিলো দেখার মতো। নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত সৈয়দ শামসুল হক'র ‘নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাস অবলম্বনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত গেরিলা চলচ্চিত্রে জয়া বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয় করে ২০১১ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে খেতাব লাভ করেন। মুভিটি এখনো যারা দেখেন নি তারা দেখে নিতে পারেন যদি ইচ্ছা হয় ।
তার অভিনীত আরো কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র এর মধ্যে একটি হলো ডুবসাঁতার ২০১০ সালের ১৭ নভেম্বর ঈদুল আযহায় মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। ৯২ মিনিট দৈর্ঘ্যের ডিজিটাল ফরম্যাটে নির্মিত এই ছবিটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন নূরুল আলম আতিক।
এটি নূরুল আলম আতিকের প্রথম পরিচালিত ছবি। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, শেহজাদ চৌধুরী, অমোক ব্যাপরী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শাহরিয়ার শুভ, বোংশু হোর, শ্রাবন্তী দত্ত তিন্নি, স্বাধীস খসরু, সুষমা সরকার, স্বাগতাসহ আরও অনেকে।।
জয়া আহসান অভিনীত আরো একটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হলো চোরাবালি। এটি ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় টিভি নির্মাতা রেদওয়ান রনি। সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ধারার এ্যাকশান ও থ্রিলারনির্ভর একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ছবিটি। ছবিটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভারতের সেরা অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী জয়া আহসান। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল রানা, এটিএম শামসুজ্জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, হিল্লোল, সালেহীন স্বপন, পিয়া, ইরেশ যাকের, সাধু সজীব এবং একটি আইটেম গানে নেচেছেন সিন্ডি রোলিং। বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে এটি তাঁর দ্বিতীয় অংশগ্রহণ প্রথমবার কমন জেন্ডার-দ্য ফিল্ম -এ।চলচ্চিত্রটি প্রথমে বাংলাদেশে এবং পরে ইউরোপ, এশিয়ার কয়েকটি দেশ সহ বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ( ৩১ শে জানুয়ারি বাংলা নিউজ ২৪ এ দেখুন)
এনেছি সূর্যের হাসি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের পর জয়া জাতিসংঘের নারী ও শিশু সহায়তা বিভাগের শুভেচ্ছা দূত হন। সূত্র ( ছুটির দিনে, দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ৮, ২০০৬।) এছাড়াও তিনি মেরিল প্রথম আলো এওয়ার্ড , ১৭ তম কলকাতা ইন্টারন্যাসশনাল ফিল্ম এওয়ার্ড , ১১ তম ঢাকা ইন্টারন্যাশ্নাল ফিল্ম এওয়ার্ড , লাভ করেন ।
তার অভিনীত ধারাবাহিক আমাদের ছোট নদী, দরজার ওপাশে , লাবণ্য প্রভা, মনে মনে , নীড় , পলায়ন পর্ব, ৬৯ , সংশয় এবং এক পর্বের আমেরিকানা, নো ম্যানস ল্যান্ড , তেভাগা , অফ বীট,
তারপরেও আঙুরলতা নন্দকে ভালবাসে এই নাটক গুলো সত্যি উপভোগ্য।
১৯৯০ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৪ বছরের ও বেশি সময় ধরে অসাধারণ অভিনয় ও মডেলিং এর মাধ্যমে লাখো ভক্তের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছেন জয়া । এখন পর্যন্ত তার কোন স্ক্যান্ডাল নেই। এখনের মডেল আর অভিনেত্রীদের দেখলে হাসি আসে। জনপ্রিয় হয়ে উঠার আগেই স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যায়। ভালো যে একেবারেই নেই তা নয় । কিন্তু ফালতুর সংখ্যা বেশী ।
আমার মতে এখনের মডেল অভিনেত্রীদের প্রথমে জয়া আহসানদের কাছ থেকে শিখে তারপর মডেলিং এবং অভিনয় জগতে আসা উচিত।
লেখার কোন ইস্যু খুঁজে পাচ্ছিলামনা তাই একজন প্রিয় অভিনেত্রী নিয়েই লিখে ফেললাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২