ইট কংক্রিটের জঞ্জাল পেরিয়ে আকাশ
দেখা হয়না কত্তদিন।
গ্রিল দেয়া জানলার ফাঁক গলে দৃষ্টি সীমায়
যতটুকু আকাশ মেলে ওটুকুই আমার।
সূর্য্যটাও আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে
এদিক ওদিক উঠা নামা করে প্রতিদিন,
আর চাঁদ! সেও অধরা মেঘের ছলনায়।
দুল খাওয়া কাশ বনে আজো কি
বুনো হাঁস ডিম পাড়ে, নদীর পাড়ে ?
কোন চঞ্চলা অভিমানী হাত ধরে
দেখা হয়না তাও আজ।
দেখা হয়না আর ঘুরিয়া ফিরিয়া
ঝাউ বনের পাশে রেখে যাওয়া পদচিহ্ন
কিংবা কাহারো অপেক্ষায় ফ্যাকাশে চোখে
গোধূলীর আলো মেখে দাঁড়িয়ে কেউ।
শঙ্খ চিলের মতোই উড়িবার আকাশ ছিলো,
ছিলো ক্ষ্যাপাটে ডানপিটে অস্ফুট হাজারো স্বপ্ন;
ছিলো পৃথিবীকে জয় করার অটুট লক্ষ্য
আর আমার পৃথিবী ত ছিলে তুমিই, কৃষ্ণ কন্যা !!
কৃষ্ণ কন্যা আজ নেই এই খানে, এই ক্ষণে;
হারিয়ে গেছে ঠিক কৃষ্ণপক্ষের মতোই
রেখে গেছে আমার এক আকাশ পৃথিবী
বড়ই বেযত্নে সংকুচিত করেই।
আজ চোখের চার দিকে চারটা দেয়াল
চাইলেই পারি চৌকাঠ মাড়িয়ে চলে যেতে বহুদূর
কিন্তু ইচ্ছে হয়না। ইচ্ছেরা আজ ঘর বন্দি।
মাঝে মাঝে চার দেয়ালের ভেতরটাও মনে হয়
শঙ্খ চিলের উড়িবার আকাশের চাইতে বড়,
আবার কখনো মনে হয় আকাশটাই এক বিশাল খাঁচা
খাঁচার ভেতর বন্দি দশায় কে থাকিতে চায় ?
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২৩শে নভেম্বর ২০১১ খৃষ্টাব্দ।