স্মৃতি ঘরে কিছু টাটকা স্মৃতি পড়ে আছে
নেবে কি ফিরিয়ে তোমার দেয়া স্মৃতি ?
আর পারছিনা পরিচর্চা করতে রাখতে।
না না তুমি ভেবো না তোমার দেয়া
সিরামিকের কলম দানী এখনো অক্ষুণ্ণ আছে।
ওটা অসাবধানে হাত থেকে পড়ে গিয়েছিলো
কিছুটা ফেটে যাওয়াতে সুপার গ্লো
লাগিয়ে দিয়েছি, হয়তো কোন একদিন
আবারো হাত থেকে পড়ে বিলীন হয়ে যাবে।
তোমার দেয়া চকোলেটের বাক্সটা এখনো-
চোখের সামনেই সাজিয়ে রেখেছি,
ওটা এখনো নাড়া চাড়া করি।
ভেতরে চকোলেট নেই
নেই চকোলেটের গন্ধ,
তাতে কি ? তোমার শরীরে গন্ধ
এই চকোলেট বাক্সে বন্দি করে রেখেছি।
হয়তো ওটাও একদিন হারিয়ে যাবে
ঠিক তোমার মতো করে।
সাগর চুম্বন করে আনা ফতুয়াটা
গায়ে চাপাই সুযোগ বুঝে,
তোমার গিফট করা ফতুয়াটা যেন
এখনো তোমার স্পর্শ বিলোয়;
কি জানি একদিন হয়তো ওটাও
হাতছাড়া হয়ে যাবে।
তেমনি করে হয়তো একদিন
হাতছাড়া হয়ে যাবে ডাকে পাঠানো
সেই নীল টি শার্টটিও।
যেমনি করে হারিয়ে গেলো
নীল নির্জনে যাওয়ার স্বপ্ন।
নীল গিরিতে বেয়ে উঠা হয়নি
বিশ্বাসী হাতে হাত রেখে,
কিন্তু তোমার শরীরের গিরিতে
বেয়ে উঠার স্মৃতি কি কখনো হারাবে ?
সাগরের নীল জলে চুম্বন দিতে পারিনি
তোমার অবহেলায়,
কিন্তু তোমার অধরের একেঁ দেয়া চুম্বন
কি কখনো ভুলে থাকতে পারবো ?
পারবে কি তুমিও ?
কোন বস্তুই স্মৃতি হয়ে ঠিকে থাকেনা
আজীবন, হারিয়ে যাবেই যাবে।
মন দিয়ে বেঁধে রেখেছিলে,
যেন হারিয়ে না যাই তাই শরীর দিয়ে বাঁধলে !
কিন্তু আমি যখন জীবন দিয়ে বাঁধতে চেয়েছিলাম
তখন হারিয়ে গেলে, অকারণেই।
হৃদয়ে যে স্মৃতিগুলো আঁকা হয়েছিলো
পারো ত এবার এগুলো মুছে দিয়ে যাও।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২২শে সেপ্টেম্বর ২০১১ খৃষ্টাব্দ
রাত ১১টা ৪৫ মিনিট।