যত দিন যাচ্ছে পৃথিবী যেন ততই পাল্টে যাচ্ছে। ছোটবেলায় শিখে আসা অনেক শিক্ষাই এখন যেন মূল্যহীন হয়ে পরেছে। ছোটবেলায় বন্ধুরা হাত ধরাধরি করে এখানে সেখানে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াতাম। আর এখন দুইটা ছেলে বা মেয়েকে একসাথে হাত ধরে ঘুরাঘুরি তো দুরের কথা, বেশি কাছে দেখলেও মনে কিঞ্চিত সন্দেহ জাগে! মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন, “খারাপ মানুষদের কারনে সমাজ কখনও ধ্বংস হয় না, বরং সমাজ ধ্বংস হয় খারাপ কাজ দেখেও ভালো মানুষদের চুপ করে থাকায়!” এই লেখাটা লিখতে বসে এই লাইনটার প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারলাম। বর্তমান সমাজের এই সময়ের সবচেয়ে ট্যাবু টপিক নিয়ে কেন যেন কেউ সহজে লিখতে চায় না। বিষয়টা হুট করে সামনে চলে আসলে সবাই যেন যেখান থেকে এড়িয়ে গেলেই বেঁচে যায়। ভাবটা এমন, আমার কিংবা আমার পরিবারের কারও তো এই সমস্যা নেই, তাই আমার এই বিষয়ে এখন না ভাবলেও চলবে। কিন্তু সবাই ভুলে যায়, আগুন যখন একবার লেগে যায়, সময় এবং সুযোগ মতো একে না থামালে, সেটা ধীরে ধীরে সেটা বাড়তেই থাকে, এর লেলিহান শিখা তখন আস্তে আস্তে আশেপাশের সবকিছুই গ্রাস করে নেয়। বাস্তব জীবন থেকে আমরা কখনই কেন যেন শিক্ষা নেই না, জলোচ্ছাস আসলে মসজিদ মন্দির কিছুই কিন্তু রক্ষা পায় না।
নর ছাড়া নারী কিংবা নারী ছাড়া নর কখনও কি আসলেই চিন্তা করা যায়? এই পৃথিবীতে একজন আরেকজনকে ছাড়া কিভাবে পরিপূর্ণ হতে পারবে? মানবজাতীর সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত সবকিছুর জন্যই তো একজন আরেকজনের কাছে ঋণী। নারী হৃদয়ের ভালোবাসার জলে স্নান করেই তো পুরুষ হয়েছে বিশুদ্ধ, সভ্য আর পবিত্র। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কঠিনতম চলার পথে পুরুষরা এগিয়ে এসে নারীদের বন্ধু হয়ে হাত ধরেছিল বলেই তো দুইজন মিলে এই নশ্বর জীবনে অদম্য সাহস বুকে নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলে প্রতিমুহুর্তে। আদিপিতা আদমের পাশে আদিমাতা হাওয়া ছিলেন দেখেই এই ধুসর নিঃসঙ্গ পৃথিবীতে মানবজাতী আজ পর্যন্ত সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এতদূর আসতে পেরেছে। কিন্তু আজ এই মানবজাতী তার সৃষ্টির পর থেকে পথভ্রষ্টতার কারণে সবচেয়ে ভয়ংকর এক সমস্যার মুখামুখি হয়েছে, যেটা তার অস্তিত্বের জন্যই দারুণভাবে উদ্বেগজনক!!!
মানবজাতীকে পথভ্রষ্ট করার জন্য এবং আলোর পথ থেকে অন্ধকারে দিকে টেনে নিয়ে যাবার জন্য ইবলিস শয়তানের খুব কার্যকরী একটা হাতিয়ার হলো মানুষের যৌনপ্রবৃত্তি। এই যৌনপ্রবৃত্তি যেন অনেকটাই ধারালো ছুরির মতো। কোন ভালো চিকিৎসকের হাতে থাকলে সেটা অন্তিম জীবনও যেমন বাঁচায় আর সন্ত্রাসীদের হাতে থাকলে সেটা খুব সহজেই হাস্যউজ্জল একটা জীবনও কেড়ে নিতে পারে। যৌনপ্রবৃত্তি স্বাভাবিক উপায়ে ব্যবহৃত হলে নারী এবং পুরুষ সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে, ভালোবাসা স্নেহ মায়া মমতার সংসার গড়ে তুলতে পারে। কিন্তু এই যৌনপ্রবৃত্তিতে অযথাই শয়তানকে নাক গলাতে দিলে সে ছলেবলে কৌশলে সেটা পুরোপুরি ধংশ করে অন্ধকারের পথে নিয়ে যায়। আর ঠিক এই কারণেই পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্ট করেই শয়তানের ধোঁকা থেকে দুরে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছেঃ
‘ইবলিশ বললো, যেহেতু তুমি আমাকে এই আদমের জন্যেই আমাকে গোমরাহীতে নিমজ্জিত করলে, তাই আমিও এদের গোমরাহ করার জন্য তোমার প্রদর্শিত সরল পথের বাঁকে বাঁকে ওত পেতে থাকবো। অতঃপর পথভ্রষ্ট করার জন্য আমি অবশ্যই তাদের কাছে আসবো ……’ (সূত্রঃ ১)
শয়তান যেভাবে আমাদের আদি পিতামাতাকে প্রতারিত করে জান্নাত থেকে বের করে এই নশ্বর পৃথিবীতে নামিয়ে এনেছে, তেমনি আমাদের মাঝেও যিনা, ব্যাভিচার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, বিকৃত যৌনাচার ছড়িয়ে দিয়ে মানবজাতীকে অবশ্যই অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চাইবে। আর তার এইসব জঘন্য কাজে তার নিজের সঙ্গী সাথী ছাড়াও পথভ্রষ্ট মানুষদেরকেই যথেচ্ছা ব্যবহার করবে। নারী পুরুষের সৃষ্টির পর থেকে চলে আসা খুব স্বাভাবিক যৌন সর্ম্পককে নোংরা আর জঘন্য পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্যই শয়তানের প্ররোচনায় সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, বিকৃত যৌনাচারের পথগুলি। বর্তমানে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে পুরুষ সাথে পুরুষ এবং নারীর সাথে নারীর সমকামিতা নামে যেই বিভৎস সর্ম্পকগুলি গড়ে উঠেছে সেইগুলি আদতে বিকৃত যৌনাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
মানবজাতীর ইতিহাসে এই ধরনের যে কয়টা পূর্ববর্তী কাহিনী আমাদের জানা আছে তার বেশিরভাগই ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলোর ইতিহাসের সাথে জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে মেক্সিকোর ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকাটিতেও এইরকম কিছু মানুষ আছে বলে আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমে এসেছে। তাছাড়া ঐ অঞ্চলে মায়ানদের ইতিহাসও আমরা জানি যারা ধ্বংস হবার আগে ঠিক এই কাজটিই করত। জর্ডানের (সডোম এবং গুমরাহ) অঞ্চল যে একই কারণে ধ্বংস হবার কথা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ডেড সীর নাম কে না জানে?
আজকাল অনেক মানুষকেই অতি আধুনিক হয়ে এই জঘন্য অপকর্মকে সমর্থন করতে দেখা যায়। বিভিন্ন মিডিয়া কিংবা লেখালেখিতে এর সমর্থনে খোঁড়া বিভিন্ন যুক্তি দেয়ার অপচেস্টা করে। নিজেকে মুক্তমনা প্রমাণ করার চেস্টা করে। যারা সমকামিতাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছেন, হয়ত তাদের অনেকেই সমকামের ধারে কাছেও কখনও যান নি, যাবেনও না। অথচ মুক্তমনা সাজতে তারা এই অপকর্মকে নির্লজ্জের মতো সমর্থন করছেন। আবার উল্টোটাও রয়েছে, কেউ কেউ মনের পশুত্বকে (সমকামের চাহিদা) এতদিন চাপা দিয়ে রাখলেও সময় সুযোগ পেয়ে এখন লাফালাফি শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু সমাজে সবার সাথে থাকার জন্য লজ্জাবশত তারা নিজেকে সমকামী বলে ঘোষণা করতে পারছেন না! আসলে এরাও জানে, সমকামিতা খারাপ। আবার এমন অনেক মানুষ আছে যারা মনে মনে এদেরকে প্রচন্ড ঘৃণা করলেও ভাবে, যার যা ইচ্ছে বা খুশি করুক, তাতে আমার কি? এই ধারণা ভুল, বড় ধরনের ভুল। এইসব নিরবতাই মানুষকে এই খারাপ কাজ করতে উৎসাহিত করে। তাই প্রত্যেকেরই উচিৎ খারাপের বিরুদ্ধে লড়াই করা। কখনও কি ভেবেছেন, আজকে যেসব শিশুরা জন্মগ্রহণ করছে তাদের জন্য আমরা কি সমাজ রেখে যাচ্ছি? কি পরিবেশের ভিতরে তারা বড় হবে? কি শিখবে? কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ কিভাবে বুঝতে পারবে?
পাশ্চাত্য দেশগুলিতে ভোগবাদী সমাজের বিকৃতরূচির সাথে সাথে এদের স্বাভাবিক চিন্তাচেতনারও ভয়ংকর অবনতি ঘটছে। সৃষ্টির শুরু থেকে চলে আসা প্রমাণিত নির্ভেজাল সত্যকে এখন নির্দ্বিধায় অস্বীকার করা হচ্ছে। অসত্য আর ধোঁকা দিয়ে বানানো হচ্ছে নিত্য নতুন মিথ্যার বেসাতি। নিরপেক্ষ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এমন একটিও নির্ভুল গবেষণাও নেই যা সমকামিতাকে একমুহূর্তের জন্যও প্রাকৃতিক বলে স্বীকৃতি দেয়। বরং প্রকৃতির কোটি কোটি প্রজাতির reproductive life (প্রজনন ঋতু) বিপরীত লিঙ্গের দিকে আকৃষ্ট হওয়া ও প্রজননের মাধ্যমে বংশবিস্তারের অসাধারণ ব্যবস্থাপনা এটাই প্রমাণ করে যে, মহান স্রষ্টা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ দিয়েই সবপ্রাণীদেরকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি সমকামী করে কাউকেই সৃষ্টি করেন নি আর প্রকৃতির নিগূঢ় উদ্দেশ্যময়তার মাঝে সমকামিতার মত নিরর্থক উদ্দেশ্যহীন কাজের কোনও স্থানই নেই।
খুব সহজ ভাবে চিন্তা করুন। মানুষের দেহে দুই ধরনের অসুখ হতে পারে। শারীরিক এবং মানসিক। কারও যদি শারীরিক সমস্যা হয়, যেমন ধরুন, এক্সিডেন্ট করে কারও হাত কিংবা পা ভেঙ্গে যায় তাকে কি মানসিক চিকিৎসা করলে সে সুস্থ হয়ে যাবে? কখনই না। যারা সমকামী কিংবা সমকামিতাকে যারা সমর্থন করেন, তারা জোর গলায় বলেন, এটা শারীরিক বা জিনগত সমস্যা এবং জন্মগত ভাবে এরা সমকামী। এটা যদি তাই হয়, তাহলে মানসিক চিকিৎসা করলে অনেকেই এটা থেকে ফিরে আসে কিভাবে? বিগত একশত বছর ধরে শুধুই সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসার মাধ্যমে শত শত সমকামী কিভাবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে? এটা যদি জন্মগতই হয় তাহলে এটা কখনই সম্ভব? মানসিক চিকিৎসা করে কোন পুরুষকে নারী বানানো সম্ভব? কিংবা নারীকে পুরুষ? হয়তো এখন অনেকেই বলবেন তাহলে বাকিরা কেন ভালো হয় না? হয় না, কারণ তাদের বিকৃত রূচি। কেউ যদি নিজে থেকে সুস্থ হতে না চায়, পৃথিবীর কোন চিকিৎসকের পক্ষেই কি তাকে সুস্থ করা সম্ভব? এতটুকু পড়ার পরই অনেকেই এখন নিশ্চয় ঝাপিয়ে পরতে চাইবেন এর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য। উপরে যা যা বললাম সেটা আমার কথা নয়। পাশ্চাত্য দেশগুলিতেই এই বিষয়ে নিয়মিতই প্রচুর রিসার্চ করা হচ্ছে। নীচে দেখুন এইসব রিসার্চগুলিতে কি প্রমাণিত হয়েছেঃ-
Columbia University Professor of Psychiatry Dr. Robert Spitzer, who was instrumental in removing homosexuality in 1973 from the American Psychiatric Association’s list of mental disorders, wrote a study published in the October 2003 Archives of Sexual Behavior. He contended that people can change their “sexual orientation” from homosexual to heterosexual. Spitzer interviewed more than 200 people, most of whom claimed that through reparative therapy counseling, their desires for same-sex partners either diminished significantly or they changed over to heterosexual orientation. Although still a proponent of homosexual activism, Spitzer has been attacked unmercifully by former admirers for this breach of the ideology that people are “born gay and can’t change.” Immutability is a central tenet of demands for “gay rights” and “gay marriage.” (সূত্রঃ ২)
Washington Post reporter Laura Sessions Stepp writes: Recent studies among women suggest that female homosexuality may be grounded more in social interaction, may present itself as an emotional attraction in addition to or in place of a physical one, and may change over time. She cites one such study by Lisa M. Diamond, assistant professor of psychology and gender studies at the University of Utah, who in 1994 began studying a group of females aged 16 to 23 who were attracted to other females. Over the course of the study, “almost two-thirds have changed labels,” Stepp reports. (সূত্রঃ ৩ এবং ৪)
In May 2000, the American Psychiatric Association issued a Fact Sheet, “Gay, Lesbian and Bisexual Issues,” which includes this statement: “Currently, there is a renewed interest in searching for biological etiologies for homosexuality. However, to date there are no replicated scientific studies supporting any specific biological etiology for homosexuality.” (সূত্রঃ ৫)
Simon LeVay, whose brain study in 1991 was controversially, wrongly interpreted and quoted by gay people, says: “[P]eople who think gays and lesbians are born that way are also more likely to support gay rights.” (সূত্রঃ ৬)
সমকামীরা ডিন হ্যামারের জিন তত্ত্ব নিয়ে বছরের পর বছর ধরে প্রচন্ড মিথ্যাচার করেছে, সারা পৃথিবীর শত শত মানুষকে ঢোকা দিয়েছে। তথাকথিত ‘গে’ জীনের ফাদার উপাধিপ্রাপ্ত Dr. Dean Hamer ‘গে’ জীনের কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। ‘Scientific American Magazine’ যখন তাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে, ‘সমকামিতা কি জীনবিদ্যার সাথে সম্পর্কিত’? তখন তিনি তার উত্তরে বলেছিলেন, ‘Absolutely not’.
In a later interview, Hamer said, “Homosexuality is not purely genetic. … [E]nvironmental factors play a role. There is not a single master gene that makes people gay. …I don’t think we will ever be able to predict who will be gay.” (সূত্রঃ ৭)
অবাক হচ্ছেন? কেন ডিন হ্যামার এই কাজ করেছেন সেটাও কিন্তু বের হয়ে এসেছেঃ
Hamer reportedly stated he has pushed for an Office of Gay and Lesbian Health inside the National Institutes of Health, and he testified in opposition to Colorado’s Amendment 2, which sought to keep homosexual activists from winning minority class status. Then, Sen. Robert C. Smith (R-New Hampshire) accused the doctor of “actively pursu[ing] … a gay agenda.” (সূত্রঃ ৮)
Dr. George Rice, Dr. Neil and Whitehead, Drs. William Byne, Bruce Parsons এই সব বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, মানুষ কখনোই জন্মগতভাবে সমকামী হতে পারে না। আর ‘গে’ জীন বলে কোন জীনের অস্তিত্বই নেই। এটা ছাড়াও অনেক বিজ্ঞানীই হ্যামারের গবেষণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন। হ্যামার গবেষনা করে দাবি করেছিলেন যে, ‘মানুষ জন্মগতভাবে সমকামী হতে পারে’। (সূত্রঃ ১২)
সমকামিতার স্বরূপ অন্বেষনের কাজ এত অল্পতেই শেষ করবো না। কিনসে থেকে শুরু করে ডিন হ্যামার এবং সাইমন লেভি সহ আরও যাদের যাদের নামে সমকামীরা এতদিন ধরে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে, তাদের সবার মুখোসই উন্মোচন করা হবে। পাশ্চাত্য দেশগুলিতেই এই বিষয়ে ব্যাপক রিসার্চ করা হচ্ছে, এদেরকে সব দাবীকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করা হয়েছে। প্রতিটা লেখা সূত্র সহ আমি উল্লেখ করবো। কিছু কিছু জায়গায় বুঝার সুবিধার জন্য বঙ্গানুবাদও করে দেব। এই লেখা সব ভ্রান্ত, মিথ্যা এবং অসত্যকে ভেঙ্গে ফেলে শ্বাশত এবং চিরসত্যকেই প্রতিষ্ঠা করার জন্যই লেখা হয়েছে। পুরো বিষয়টার অনেক কিছু আমাদের অজানা, এখানে অনেক মিথ্যা কথা প্রচলিত, অনেক মিডিয়ার প্রোপাগ্যান্ডা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার জন্য এবং মিথ্যার মুখোস উন্মোচন করার জন্য সমকামিতাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা করা হবে। আগ্রহী পাঠকদেরকে সাথেই থাকার জন্য অনুরোধ রেখে গেলাম।
পরবর্তী পর্বঃ সমকামিতা এবং এর উৎপত্তি
পূনশ্চঃ সমকামিতা বিরুদ্ধে আমি লেখা শুরু করি “গল্পঃ নাবিলা কাহিনী ৪ - অচেনা হৃদয়” থেকে। সেখানেই প্রচলিত বেশি কিছু ভুল ধারনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। পাঠকদের কাছ থেকে পাওয়া মন্তব্যে এরপরও অনেক ভুল ধারনার কথা পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্লগের সম্মানিত মডারেটর আমাকে এই বিষয় নিয়ে পোস্ট দেবার অনুরোধ করেন। এই লেখা সম্মানিত মডারেটরকেই উৎসর্গ করলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, ডিসেম্বর ২০১৯
সূত্রঃ
১। আল ফুরকান শরীফ, সূরা-০৭, আয়াত ১৬-১৭
২। Robert L. Spitzer, “Can Some Gay Men and Lesbians Change Their Sexual Orientation?”, Archives of Sexual Behavior, Vol. 32, No. 5, October 2003: 403-417
৩। Laura Sessions Stepp, “Partway Gay? For Some Teen Girls, Sexual Preference Is a Shifting Concept,” The Washington Post, January 4, 2004, p. D-1.
৪। Lisa M. Diamond, “Was it a phase? Young women’s relinquishment of lesbian/bisexual identities over a 5-year period,”
Journal of Personality & Social Psychology (in press as of 2004)
৫। American Psychiatric Association . Fact sheet – “Gay,Lesbian and Bisexual Issues,”, May – 2000
৬। Simon LeVay, quoted in A. Dean Byrd, Ph.D., Shirley E. Cox, Ph.D., and Jeffrey W. Robinson, Ph.D., “The Innate-Immutable Argument Finds No Basis in Science,” 2002, the National Association for the Research and Therapy of Homosexuality, http://www.narth.com/docs/innate.html.
৭। From speech in Salt Lake City in Lili Wright, “Science of Desire Is Topic for ‘Gay Gene’ Finder,” Salt Lake Tribune, 28 April 1995]
৮। Joyce Price, “Federal Cancer Lab Hunts for Gay Gene,” The Washington Times, 3 April 1994.]
৯। ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েব সাইটে প্রাপ্ততথ্য
১০। http://lostmodesty.com
১১। BORN OR BRED? Science Does Not Support the Claim That Homosexuality Is Genetic by Robert Knight, Click This Link
১২। George Rice, et al., “Male Homosexuality: Absence of Linkage to Microsatellite Markers at Xq28,”Science, Vol. 284, p. 667.
William Byrne and Bruce Parsons, “Human Sexual Orientation: The Biologic Theories Reappraised,” Archives of General Psychiatry, Vol. 50, March 1993: 228-239
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭