অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন ঢাকা শহরে আবাসিক এলাকাতে গাড়ী/প্রাইভেটকার/জীপ এগুলো চলবে। জাহাজ কেনো চলবে? এটা তো অসম্ভব।
কিন্তু না অসম্ভব বলে কিছু নেই। সবই সম্ভব। কারন ঢাকা শহরের বেশীর ভাগ আবাসিক এলাকা গুলো খাল-বিল ভরাট করেই হয়েছে। আর এই সব এলাকা দিয়ে আগে এক সময়ে বিশাল বিশাল জাহাজ চলাচল করতো। এখনো করে তবে সেগুলো অনেক ছোট আকারে।
ছবি ১ঃ আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি। আমার সামনে পিচঢালা পাকা রাস্তা। আমার পিছনে অভিজাত আবাসিক এলাকা। সামনে তথা-কথিত লেক। সেখানে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা যাচ্ছে। ঐ পাড়ে গড়ে উঠেছে আরো একটি আবাসিক এলাকা।
ছবি ২ঃ একটি মাঝারি সাইজের ট্রলার শিপ আমাকে অতিক্রম করে যাচ্ছে।
ছবি ৩ঃ একটি বালু বোঝাই প্রায় ডুবন্ত ট্রলার আরেকটি খালী জাহাজকে অতিক্রম করে যাচ্ছে।
ছবি ৪,৫,৬ খালী জাহাজটি আমার সামনে। আমাকে পাশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে।
ছবি ৭ঃ এই পাড় থেকে পোলাপাইন ক্রীকেট খেলার জন্য পাশের আবাসিক এলাকাতে গেছিলো পড়ন্ত বিকালে খেলা শেষে আবার ফিরে আসছে।
ছবি ৮,৯,১০ ঃ বালু খালাস করে আরেকটি শিপ চলে যাচ্ছে।
ছবি ১১ঃ পোলাপাইন গভীর পানিতে আছে।
ছবি ১২ঃ প্রায় ডুবি-ডুবি অবস্থা নিয়ে ট্রলারটি মাল খালাস করতে যাচ্ছে। দুরের লাল বিল্ডিং টি ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির মেইন ক্যাম্পাস।
ছবি ১৩ঃ সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নেমে আসে। একটি দ্রুতগামী প্রাইভেটকার সাই করে ছুটে যাচ্ছে, তবে বেসামাল হলেই গভির পানিতে চলে যাবে ।
ছবি ১৪ ঃ রাত হয়ে যায় !!রাত নেমে যায়!! আমি বসে বসে প্রকৃতি দেখি- ভেবেই যাই বিষন্ন মনে। এই সুন্দর পৃথিবী, প্রকৃতি। অতীত/নষ্টালজিক। সব ছেড়ে একদিন সবাইকেই চলে যেতে হবে।
স্থান-কাল-সময় সব কিছু আমার কাছে অপরিচিত মনে হয়। জীবনটা আমার দৃষ্টিতে যেমন ছিলো সেটা যেন খুব দ্রুত পরিবর্তীত হয়ে গিয়েছে।
অফিস থেকে গতকালকে তারাতারি চলে এসেছিলাম। বাসায় বসে ভালো লাগছিলো না। বিষন্ন বিকালে একা একা ছবি গুলো মোবাইল দিয়ে তুলেছি। ঢাকা একসময়ে সবুজ আর পানিতে পরিপূর্ন ছিলো তা ভালোভাবে খেয়াল করলে এখনো বুঝা যায়। হয়তো এখন যে টুকু অস্তিত্ত্ব আছে , কিছু দিন পরে হয়তো সেটারও অস্তিত্ত্ব থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২৪