হঠাৎ দেখা সেই মুহত্য, পড়ন্ত বিকাল আর কিছু পরেই সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করবে। শীতের দিনে আরও তাড়াতাড়ি হয়। কেন যেন এখনি মনে হচ্ছে সোনালী হয়ে গেছে সুর্যটা। আছরের আজান হয়ে গেছে, আমি নামাজের জন্য ব্যস্ত। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাচ্ছি। মেইন রোড পার হতে হবে। গাড়ির যনজট আছে। সামনে একটা রিক্সা দাড়িয়ে আছে। রাস্তা দিয়ে যারা যাচ্ছে সবাই একবার রিক্সার দিকে তাকিয়ে যাচ্ছে। কেন কি কারণ আমি জানি না । আমিও যখন রিক্সা টা ওভারটেক করি তখন একবার পিছন ফিরে তাকালাম। দেখতে পেলাম রিক্সার ভিতরে 30-32 বছরের এক যুবক সাথে গা ঘেসে বসে আছে 17-18 বছরের এক যুবতী, লাল রঙ্গের একটা শাড়ী পরনে, ভিতরের লাল ব্লাউজটা দেখা যাচ্ছে। কাজল কাল পোটল চেরা চোখ, পাকা মরিচের মত লাল টক টকে ওভার সেডের মেরুন কালারের ঠোট দুটি অনেক দুর থেকে বেশ ফুটে উঠেছে। কালোকেশের মাঝে একটি গাধাফুলের থোকা বেধে দেওয়া আছে। মাঝে কয়েকটা গোল্ডেন কালারের চুল। রিক্সার মধ্যে বসে মেয়েটা যেন লজ্জাবোধ করছে। ছেলেটা কিছু বলবে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু না । কিছু বলছে না, তখন বুঝলাম কেন সবাই একবার তাকিয়ে যাচ্ছে। মসজিদে প্রবেশ করলাম, নামাজ পড়ে আসার সময় আর সে রিক্সা টা নেই। চলে গেছে কোথাও । আমি অফিসে এসে একবার এই জুটির কথা ভাবলাম। কিন্তু অহেতুক কেন। তাদের নিয়ে আমার ভাববার কিছু নেই। মাগরীবের আজান হলো মসজিদে নামাজের জন্য গেলাম, নামাজ পড়ে আসার সময় দেখলাম সেই যুবক ও যুবতী হেটে আসছে। মেয়েটি তার নরম হাতটা ছেলেটির হাতের ভিতর দিয়ে জড়িয়ে ধরে রাস্তা দিয়ে হেটে আসছে। পরণে নেই সেই শাড়ী, সেই মরিচের মত লাল ঠোট, সেই এলো চুল! এখন মেয়েটি তার মাথার চুল গুলি গ্রোমের মেয়েদের মত চুল গুলি মাথার উপর গোল করে বেধে একটি কাঠি গুজে দিয়েছে। মাথায় একটা কালো ওড়না বেধে এবং একটি সেলোয়ার কামিজ পরনে। ঠোটের লাল রংটা গোলাপী হয়ে গেছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের কেন এই পরিবর্তন? একটু পরেই যান্তে পারলাম তাদের দুজনের অবৈধ্য সম্পর্ক। তারা এই অল্প সময়ের মধ্য একটা হোটেলে ছিল। এবং তারা শারিরীক মিলন করেছিল। পথি মধ্যে মেয়েটি তাকে বললো আমাদের তো শারিরীক মেলামেশা হয়ে গেলো, তবে চলো আমরা এখন কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে আসি। ছেলেটি রেগে গিয়ে আমাকে মুক্তি দাও, বলে মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পরে ফেলে দিল। আর দ্রুত গতিতে একটা গাড়ি এসে মেয়েটিকে চাপাদিয়ে চলে গেল। একটি ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গেল। আর মেয়েটি চিরতরে ছেলেটিকে মুক্ত করে দিল।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩