আমার কালাত ভাই ( জী কালাত ভাই) রায়হান খান । আমার মতোই গায়ের রং তাই ওকে খালাত ভাই না বলে কালাত ভাই বলে জেতাই। এখন বাবা মার সাথে ইতালিতেই থাকে। ওর যখন ৭ বছর বয়স একবার ঢাকায় এলো আমাদের বাসায় বেড়াতে। নিজে নিজেই একা গোসল করে বাথরুমে অনেক সময় নিয়ে। বাথরুমে আমার সব শেভিং সামগ্রী। আর আমাদের বাসায় তখন কোন বাচ্চা না থাকায় সব কিছুই হাতের নাগালে ছিল। কালাত ভাই এসেছে ফুয়াং থেকে কিছু খাবার দাবার নিয়ে বাসায় ফিরলাম তারাতারি, ইচ্ছা ওর সাথে মজা করে খাব। কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখি ওর কোন খবর নেই । আমি ডাকি আসে না। ঘটনা কি খালারে আকসাই হাসে, মারে আকসাই হাসে। শেষে ছোট বোন বলে তোমার কালাত ভাই তোমার বাথরুমে গোসল করতে গিয়া শেভ কইরা বের হইছে। হ ঘটনা হাচা রুমে গিয়া দেখি সে জুলফির কিছু অংশ সহ মাশাল্লাহ বালাই শেভ করছে।
এবারও কালাত ভাইয়ের কাহানী। গেছে নানার বাড়ি বেড়াতে। বিকালে বাড়ির পাশের জমিতে সব বাচ্চারা খেলা করছিল। সেখানে আবার গরুর জন্য জমানো সব খড়ের গাদা। আমার কালাত ভাই রান্না ঘর থেকে ম্যাচ নিয়া মাশাহল্লাহ খড়ের গাদায় দিছে আগুন লাগায়া। শুকনা খড় কার সাধ্য আগুন নেভায় । কপাল ভালো শুধু একাট খড়ের গাদাই পুড়ছিল।
মাস দুয়েক আগে আমাদের ভেনিস থেকে এক পরিচিত ফ্যামিলি এলো বেড়াতে। তাদের আবার এক পিচ্চি (ব্যাপক পাকনা) আছে। দেশের বাইরে দুর থেকে কেউ এলে আশে পাশের পরিচত সবাই আশে বাসায় দেখা করতে। তো একদিন রাতে গেট টুগেদার পার্টি চলছিল আমাদের বাসায়। যে যার মতো কেউ বিয়ার কেউ আরো কড়া কেউ বা জুস পান করতে ছিল । তবে হেনিকেনের বিয়ারের ক্যানই বেশী ছিল সবার হাতে। আমরা দুতিনজন মাত্র কোকাকোলার ক্যান হাতে। পিচ্চি গ্লাসে করে কোক খাচ্ছিল । সবার হাতে কেন দেখে সেও ক্যানে খাবে। দেওয়া হলো তাকে কোকের ক্যান। না সে লালা ক্যান খাবেনা তাকে সবুজ ক্যান দিতে হবে ............... কিছুতেই সে লালা ক্যান নিবেনা তাকে সবুজ ক্যান দিতেই হবেই। শেষে কেউ একজন বার থেকে সবুজ স্প্রাইটের ক্যান দেওয়ার পর সে ঠান্ডা হয়।