গত তিন বছর ধরে প্রবাসে থাকা বিএনপি-জামাতের একটিভিটিস্টরা (ইলিয়াস, পিনাকি, ইত্যাদিরা) হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করলো। যেটা পশ্চিমা আইনেই অপরাধ—মানি লন্ডারিং। তাতে যোগ দিলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীরা। ফলাফলে রেমিট্যান্স আসা কমে গেলো।
কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। হুন্ডি তাতে আরো ঘা তৈরি করলো। লাভ হইলো দুর্নীতিবাজদের যারা হুন্ডিতে বিদেশে টাকা পাচার করলো। সমস্যায় পড়লো দেশের মানুষ। জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়লো। এত কিছুর পরেও শেখ হাসিনা যখন ভারত চলে গেলেন তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৪ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংকের মানদন্ড অনুসারে ২১ বিলিয়ন ডলার।
এখন প্রবাসীদের অনেকে বৈধ পথে ফের টাকা পাঠাচ্ছেন। তবে অনেকেই এখনো হুন্ডিতে পাঠাচ্ছেন কারন তারা সামান্য কিছু বেশি টাকা পাওয়ার মজা পেয়ে গেছেন। অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে তাতে নিজেকেই পড়তে হয় প্রবাদটা খুবই সত্য। এনজিওগ্রাম সরকারের আমলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও তা বৈদেশিক আমদানি বিল, বিদ্যুতের জ্বালানী বিল পরিশোধে যথেষ্ট নয়। কারন উল্টা দিকে গার্মেন্টস শিল্পে অর্ডার কমে গেছে। বিদেশীরা বিকল্প সাপ্লাই চেইনের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে ক্রমাগত।
আপনি জেল থেকে সমস্ত হিজবুত ছেড়ে দিবেন, আনসার-উল্লাহ ছেড়ে দিবেন, ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিবেন বলবেন, আর বিদেশীরা বুঝবে না বাংলাদেশ অচিরেই পাকিস্তানের মতন আরেকটা অস্থিতিশীল দেশে পরিনত হবে তা তো হয় না। পত্রিকা-টিভিতে আপনি খবর আসতে দিবেন না কিন্তু বিদেশী বিজনেস ইন্টেলিজেন্স তো আর নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না।
এখন এসবের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জ্বালানি এবং মেইনটেনেন্সের অভাবে। গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে। এতে উৎপাদন খরচও বাড়ছে। সাথে আবার উৎপাদনও কমছে। যার ফলাফলে বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। এনজিওগ্রাম সরকার যদি এখন আমেরিকাকে আব্বাও ডাকে খোদ আমেরিকার পক্ষেও সম্ভব হবে না এখানে কোন সমাধান দেয়া। এরা এমন এক গর্ত খুঁড়েছে যে বাংলাদেশ বহুদিনের জন্য পয়েন্ট অফ নো রিটার্নে চলে গেছে