ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের জন্য সুখবর শোনালেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। আলোকশক্তি ব্যবহার করে তাঁরা ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর নতুন এক যন্ত্র তৈরি করেছেন। এটি ইন্টারনেটে তথ্য ডাউনলোডের গতি বাড়াবে। খরচও কমিয়ে দেবে।
যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনোসেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। তাঁদের গবেষণার ফল গত মঙ্গলবার অনলাইন সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো লাই বলেন, ‘এই যন্ত্র দেখতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মতোই। তবে এটা সম্পূর্ণভাবে আলোতেই চলে।’
গবেষকদের নতুন এই যন্ত্রের দুটি অপটিক্যাল তরঙ্গপ্রবাহ রয়েছে। দুটিই একই ধরনের অপটিক্যাল সংকেত বহন করে। তরঙ্গপ্রবাহ দুটির মধ্যে রয়েছে ছোট হার্ডন কোলাইডারের মতো একটি অপটিক্যাল সংকেতনিবর্ধক যন্ত্র। ওই যন্ত্রে আলো শত শত বার মুক্তভাবে ছোটাছুটি করতে পারে। এতে করে আলোর তীব্রতা বাড়ে। এই প্রভাব কাজে লাগিয়ে, প্রথম তরঙ্গপ্রবাহ অপটিক্যাল সংকেতনিবর্ধক যন্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্যহারে বেড়ে যায়। এর ফলে দ্বিতীয় তরঙ্গপ্রবাহে খুবই শক্তিশালী অপটিক্যাল শক্তি তৈরি হয়।
২০০৮ সালে করা লাই ও তাঁর সহযোগীদের আবিষ্কারের ভিত্তিতে নতুন এই গবেষণা করা হয়। গবেষকেরা তখন দেখতে পেয়েছিলেন, অপটিক্যাল তরঙ্গপ্রবাহ (যে তথ্য-চ্যানেল আলো বহন করে) যান্ত্রিকভাবে চালনার জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট শক্তিশালী অপটিক্যাল শক্তি। আর নতুন যন্ত্রটিতে গবেষকেরা দেখতে পান, এই আলোর শক্তি এতই শক্তিশালী যে, যন্ত্রটির যান্ত্রিক অংশগুলো তার নিজস্ব যান্ত্রিক অবকাঠামোর পরিবর্তে ওই অপটিক্যাল প্রভাব দিয়েই সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। অতি উচ্চমাত্রার শক্তির ক্ষেত্রে বাড়তি রঙিন আলোকসংকেত নিয়ন্ত্রণে এই প্রভাবকে বিস্তৃত করা হয়।
সুত্র-প্রথম আলো।