পেনসিলভেনিয়ার ইরি নামক শহরে বাস আমার। এখান থেকে কানাডার বর্ডার মাত্র এক ঘন্টার পথ, নায়াগ্রা ফলসও দুরে নয় কাছে।বাইরে বের হওয়ার সুযোগ খুব কম যেহেতু স্টোরে/দোকানে কাজে ব্যাস্ত থাকতে হয় বেশি। রবিবার এখানে ১১-৬ টা জব করতে হয় বিধায় বাকি সময় আশেপাশের প্রকৃতি পর্যবেক্ষনে কিছুটা সময় দেয়া যায়।এখানের রাস্তাগুলো পাহাড় কেটে খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে ,প্রচুর গাছপালা, লেক/নদী,মাঝে মাঝে উচু-নিচু বাড়ী আশেপাশে গলফ ক্লাব,বীচও আছে। পেনসিলভিয়ার তাপমাত্রা এখন খুবই ভাল সামার চলছে সারা আমেরিকায়। হালকা ব্রীজ,সানসাইনিং ওয়েদার,সহনশীল তাপমাত্রা। কিন্তু কোল্ড সিজন আসলেই পেনসিলভেনিয়া,নিউইয়র্ক,ওয়াশিংটন ডিসি,কানেকটিকাট,নিউজার্সী সহ আশেপাশের স্টেটগুলোর মানুষদের জন্য ৩-৪ মাসের জন্য বরফের কষ্ট ভোগ করতে হয়। তবে বরফ পড়তে দেখাটা এক ধরনের অন্যরকম অভিজ্ঞতা যেটা আমি নিউইয়র্ক থাকতে প্রথম পাই।ক্যালিফোর্নিয়া,ফ্লোরিডার ওয়েদার অবশ্য অনেকটা বাংলাদেশের মত সেখানে কুয়াশা পড়ে হালকা কিন্তু বরফ পড়েনা। ক্যালিফোর্নিয়াতে আমি ছয় মাস ছিলাম।নিউইয়র্ক প্রথমে ২ বছর কোম্পানিতে জব করি।
যাই হোক আসি বর্তমানের কথায় শপিং মলের মোবাইলের দোকানে কাষ্টমার কম আসে কেসিং,চার্জার,কাভার,ব্লুটুথ ডিভাইস তারপরও অনেক লোক কিনে। রিল্যাক্স মুডে বসে থেকে জব করা যায়। কাষ্টমারদের বেশিরভাগই আমেরিকান, স্প্যানিশ,মেক্সিকান,আফ্রিকান,কানাডিয়ান,চিনা-জাপানি,আর ইন্ডিয়ান,অ্যারাবিয়ান নেই বললেই চলে।অনেক সময় কাজের ফাকে বোরিং লাগলে ল্যাপটপ নিয়ে ঘাটাঘাটি করি।আমার সাথে আরও দুজন বাংলাদেশী ছেলে থাকে একই অ্যাপার্টমেন্টে,তারাও পাশাপাশি দোকানে জব করে।অ্যাপার্টমেন্টগুলো লাক্সারিয়াস ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ।বলাবাহুল্য নিউইয়র্ক থেকে এই জবগুলো অনেক রিল্যাক্সের আর মানি সেইভও নিউইয়র্ক থেকে বেশি হয়।আশেপাশে ওয়ালমার্ট,টারগেট,ম্যাকডোনাল্ডস,মেসি,জেসিপেনির মত বড়বড় স্টোর আছে যেখান থেকে যখন তখন প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করা যায়।তবে মসজিদ এখান থেকে একটু দুরে তাই নামাজটা প্রকৃত অর্থে অতটা পড়া হয়না যতটুকু পড়ি বাসায়ই পড়ি। অবশ্য মসজিদ কাছে থাকলেও নামাজ পড়ার সময় পাওয়াটাও এককথায় দুসাধ্য ব্যাপার যেহেতু কাজে খুবই বিজি থাকতে হয়। দেশের কথা মনে পড়লে মাঝে মধ্যে খারাপ লাগে যখন পরিবারের সঙ্গে কথা বলি তখন সেই খারাপ ভাবটা আর থাকেনা।
অনেক ব্যাস্ততার মাঝে লিখলাম। পরবর্তীতে আরো লেখার আশা রাখি। আল্লাহ হাফেজ।