ঘুমিয়ে ছিলাম, গভীর ঘুমে। কিন্তু চাকরীর সুবাদে (কিংবা কুবাদে) শনিবারে সকালে কান খাড়া রাখতে হয়। মোবাইলে টুংটাং শব্দ হলেই চেক করতে হয়।
তেমনই একটা নোটিফিকেশনে আধোঘুমচোখে মোবাইলের দিকে তাকালাম। না কোন এসএমএস বা হোয়াটসএ্যাপ ম্যাসেজ না; তার মানে দাড়ায় নোটিফিকেশন ইগনোর করা যায়। আবার ঘুমে ঢলে পড়লাম। কিন্তু, ঘুমের মধ্যেই মোবাইলের স্ক্রীনে নামটা মনে পড়লো। এই নামের কেউ তো আমাকে, 'কেমন আছো' লিখে ম্যাসেজ করার কথা না। আমার নম্বরই বা সে পাবে কোথায়?
তার সংসারে সে দেখেছে অভাবের করুণ অবস্থা; আমিও দেখেছি, তবে হয়ত তার মত করে নয়। তাই ছোট ব্যবসায়ী ছেলেকে ছেড়ে সে হাত ধরেছিলো প্রবাসী একজনের। প্রবাসী একজনও তার কপালে থাকেনি। ৩মাসের ছুটি শেষে বিমানের চাকায় পিষ্ট করে গেছে তার সেই হাত ধরা।
আমি ফিরিনি। ফেরার কাকুতিও শুনতে চাইনি। ভাগ্যচক্রে আমিও এখন প্রবাসী। তবে নাটক-সিনেমা-গল্পে যেমন নায়ক প্রচন্ড ধনী হয়ে যায়, নায়িকাকে নায়কের পায়ে পড়তে হয়; এমন কিছু ঘটেনি। আমি হয়ত চাইওনি এমন কিছু ঘটুক। অথবা চেয়েছি। কে জানে?
তার ম্যাসেজ দেখে আবার ঘুমাতে গেলাম। কোন একটা বিষয়ে সাহায্য চায়। ৯বছর আগেই তার প্রতি আগ্রহ হারিয়েছি। ৯বছর পর এসে সেই আগ্রহ জাগ্রত হবে এমন কোন সম্ভাবনাও নাই। ম্যাসেজের রিপ্লাই করিনি। করতে চাইও না।
এসব টুকটাক ঘটনা মাঝে মধ্যে পুরান সব দিনের মধ্যে ডুব সাঁতার কাটায়। ভাবতে অবাক লাগে, কত বোকা ছিলাম। ৯ বছরে কি চালাক হয়েছি? না হয়ত, হয়ত হ্যাঁ।
এক সময় খুব করে চাইতাম সে খারাপ থাকুক। বুঝতে বহু দেরী হয়েছে যে সে যেমনই থাকুক, কিছুই যায় আসে না আমার। আমি কেমন আছি, দিন শেষে সেটাই মূল।
ভালো থাকুক সবাই। ভালো থাকা কোন অপরাধ নয়।