মোঃ মামুন চৌধুরী
একটি নগরীর জন্য ড্রেনেজ সিস্টেম বা নিস্কাশন ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রেনেজ সিস্টেম প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুইটি উপায়ে হয়ে থাকে। আপস্ট্রিমের পানি গুলো কৃত্রিম উপায়ে বিভিন্ন স্লুয়েজ –স্টর্মসুয়ের লাইনের মাধ্যমে নিষ্কাসিত হয় আর ডাউনস্ট্রিমের গুলো সরাসরি খাল-বিল-ঝিল-নালা তে গিয়ে নিষ্কাসিত হয়। এটা প্রত্যেহজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা একটা নগরীর জন্য খুবই গুরুতপূর্ণ ইউটিলিটি সার্ভিস যা ছাড়া ঐ নগরী অচল।
মানুষের কাজকর্ম এবং প্রাকৃতিক পানি সাইকেল মধ্যে সম্পর্ক করার জন্য ড্রেনেজ সিস্টেম ডেভেলপ করা প্রয়োজন।
প্রথমত, মানুষ প্রাত্যাহিক জীবনে গৃহাস্থলী কাজে, পয়ঃনিষ্কাশন, অফিস-আদালত-ইন্ড্রাস্ট্রিতে পানির বিভিন্ন ব্যবহার যা ড্রেন আউট করবে তার জন্য এই ড্রেনেজের প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, ভারী বর্ষণ, ঝড়-বৃষ্টিতে যেনে পানি না জমে যায় সেজন্য এই ড্রেনেজ সিস্টেম ডেভেলপ করা হয়।
বাংলাদেশ গত দেড়দশকে যেমন বেড়েছে জনসংখ্যা তেমন বেড়েছে ডেভেলপমেন্টের কাজ। যার একটি বৃহৎ অংশ ঢাকা কে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশের অন্য জেলা ও বিভাগীয় শহরের তুলনায় ঢাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। ২০০৩ সালের এর জনসংখ্যা ছিল ১ কোটির মত! ঢাকায় প্রতিবছর নতুন করে ৩ লক্ষ্ লোক বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেক কাজ-কর্ম, চাকুরী, পড়াশুনার জন্য আসে। যার কারণে ঢাকায় যত্রতত্র নগরায়ণ হয়েছে। ডেভেলপমেন্ট হয়েছে কোনও গাইডলাইন অনুসরণ না করে। আর এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপেই ভেঙ্গে পড়েছে এর বিভিন্ন নাগরিক ব্যবস্থা। যারমধ্যে একটি অন্যতম এই ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা বলতে শুধুমাত্র পাইপের কানেকশনগুলো বোঝায় না বরং ড্রেনেজ পাইপের সাথে প্রাকৃতিক জলাধারগুলো (যেমনঃ পুকুর, নদীনালা, খাল-বিল ইত্যাদি) সংযোগ।
জনসংখ্যার অত্যাধিক চাপে এবং যত্রতত্র উন্নয়নের নিমিত্তে ঢাকায় অবস্থিত খাল-বিল পুকুর-ডোবা সমানে ভরাট করা হয়েছে এবং জলাধারগুলোকে রেসিডেন্সিয়াল, কমার্সিয়াল ব্যবহারের পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে যেমন নষ্ট হয়েছে প্রাকৃতিক পানি সাইকেল তেমন নষ্ট হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
ঢাকার জলবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে মোটামুটি দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয়।
১) অপরিকল্পিত উন্নয়নের নিমিত্তে সকল জলাধার ভরাট করা।
২) সকল প্রকার পলিথিন-প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ রাস্তায় ও নর্দমায় ফেলা।
বৃষ্টি-ভারি বর্ষণ এর ফলে পানি দুভাগে যাবার কথা। একভাগ সরাসরি ভূমিতে শুষে মাটিতে অভ্যন্তরে চলে যাবার কথা। কিন্তু ঢাকার বেশিরভাগ স্থান পেভড (পাকা) করে ফেলার ফলে এই অংশটি অকার্যকর হয়ে গেছে। এইকারণে যেকোনও স্থাপনা করার সময় ৫০% সবুজ ও আনপেভড রাখা প্রয়োজন। যা এই পানি সাইকেল এবং ড্রেনেজ সিস্টেমের অন্তর্ভূক্ত।
আরেকটি অংশ হচ্ছে, পানি সারফেসের উপর দিয়ে রানআফ করে সরাসরি কৃত্রিম জলাধারে চলে যাবে। আর এই পানি নিয়ে যায় উপর্যুক্ত পাইপ কানেকশনের ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক। যেহতু পেভড এরিয়া বেশি আর তাই পাইপ কানেকশন তথা ‘স্টর্ম স্যুয়ারেজ’ এর ক্যাপাসিটির চেয়েও বেশি ভলিউমের পানি ড্রেন আউট করতে হয়। অন্যদিক যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমান ক্যাপাসিটির চেয়েও কম পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। ফলে জলযটের মত ঘটনা ঘটছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, বর্তমান ঢাকা মহানগরীর মধ্য দিয়ে একসময় প্রবহমান ছিল ৫৪টি খাল। এখন তার ১২টি কোনোমতে টিকে আছে। অন্যগুলো দখলদারদের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এভাবে পানি নিষ্কাশনের প্রাকৃতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করা হলেও পরিকল্পিতভাবে বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি।
বর্তমান ঢাকা মহানগরীর ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ঢাকা ওয়াসার ‘স্টর্ম স্যুয়ারেজ’ আছে মাত্র ৩৬০ বর্গকিলোমিটার (২২ শতাংশ)। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলোর মধ্যেও ময়লা জমে কার্যকারিতা কমে গেছে।
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর দাতাগোষ্ঠীর সহায়তায় সরকার ‘ফ্লাড অ্যাকশন প্ল্যান’ বা ফ্যাপ (FAP) প্রণয়ন করেছিল। এরপর ২০১০ সালে করা হয় ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপ (DAP) । এ দুটি পরিকল্পনাতেই ঢাকা মহানগরীতে ৫ হাজার ৪২৩ একর জায়গা রাখার কথা বলা হয়েছে জলাধার হিসেবে। খাল-নদী রাখার কথা ২০ হাজার ৯৩ একর। বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল সংরক্ষণ করার কথা ৭৪ হাজার ৫৯৮ একর। অন্তত কোটি মানুষের এই নগরীকে এগুলো ছাড়া বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু এর প্রায় সবই দখল হয়ে গেছে। ড্যাপে ১২টি জলাধার (রিটেনশন পন্ড) রাখার কথা রয়েছে। কিন্তু সেগুলো দখল ও ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
গত ১লা সেপ্টেম্বর মাত্র এক-দেড় ঘন্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে মালিবাগ, শান্তিনগর-কাকরাইল-বিজয়নগর-ফকিরাপুল, ধানমন্ডি, ফার্মগেইট-রাজাবাজার, ইন্দিরারোড, মিরপুর সহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা।
২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখুন।
মিরপুর রোডে জলবদ্ধতা
নিচে ঢাকার কয়েকটি স্থানের গত দেড় দশকে জলাধার ভরাট করে ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন করা হয়েছে। নিচে তার গুগল চিত্র তুলে ধরা হল।
উপরের ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, পূর্ব রামপুরা অর্থাৎ বনশ্রীর কাছাকাছি এলাকায় বৃহৎ বৃহৎ খাল-বিল জলাধার ছিল যা বেগুনবাড়ী খালের সাথে সংযুক্ত ছিল। পূর্ব রামপুরা সংলগ্ন এলাকার পানি নিষ্কাশন হত এইসব জলাধারের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে তা ভরাট অবস্থায় দেখা যায় এবং রামপূরাতে দেখা যায় জলাবদ্ধতা
এই ছবিটিতে দেখা যায় মালিবাগ রেলগেইট সংলগ্ন একটি জলাধার। যা অপরিকল্পিত ভাবে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। মালিবাগ রেলগেইট সংলগ্ন বসতি গড়ে উঠেছে এই জলাশয়ের উপরে। এরকম আরো বেশ কিছু জলাধার যা মালিবাগ-গুলবাগ-শান্তিবাগ-শান্তিনগর এলাকায় ছিল যা ভরাট করে ফেলা হয়েছে। যার ফলে জলবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে।
উপরের দুটি ছবি দেওয়া আছে। একটিতে মিরপুর -১৩, ১৪ এর বিশাল এলাকা জলাধার ছিল। তা ভরাট করে রেসিডেন্সিয়াল ও কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। অন্যটিতে রূপনগর মিরপুর-২ এর কাছাকাছি এলাকায় বৃহৎ ঝিল ছিল যা ভরাট করতে করতে এখন সরু নালার ন্যায় আছে। অন্তঃত এই দুটি ছবি দেখে বোঝা যায় কেন মিরপুর অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে। কেন সৃষ্টি হচ্ছে জলবদ্ধতা।
কাওরান বাজার ঢাকার প্রাণকেন্দ্র। কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারার কাছাকাছি সুন্দরবন হোটেল সংলগ্ন স্থানে জলাশয় ছিল। যার একাংশ ভরাট করেছে একটি প্রভাবশালী কোম্পানি অন্যটি ন্যাশনাল ব্যাংক। সেখানে ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে সুন্দরবন দেওয়াল হেলে পড়ে এবং রাস্তা ডেবে যায়। এতে ভবন নির্মাণ করা ঝুকিপূর্ণ হবে বলে বিবেচনায় নেওয়া হয়। জলাশয় ভরাট ঠিক মত করা হয় নি বলে এইরম অবস্থার সৃষ্টি হয়। কাঠালবাগান অংশে কালভার্ট রোডে একটি পুকুর ভরাট করে এক ডেভেলপার বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। এইভাবে শত শত জলাশয় এই এলাকায় ছিল যা অবৈধ ভাবে ভরাটের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জলবদ্ধতা।
উপরের দুটি বৃহৎ জলাশয় যা রেলওয়ের জায়গা। একটি মুগদাপাড়ায় অন্যটি বাসাবো এলাকায়। মুগদাপাড়া ঝিল ভরাট করে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট বহুতল হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাসাবো ঝিলটি এক প্রান্তে বারডেম হাসপাতালের বাসাবো শাখা নির্মান করা হয়েছে এবং সম্মুখে একটি ক্ষুদ্র পুকুর রেখে পুরোটাই উন্মুক্ত খেলার মাঠ হিসেবে রাখা হয়েছে। অবশ্য বিভিন্ন সরকারের সময় এই স্থানে স্কুল-কলেজ-কমিউনিটিসেন্টার বা রেসিডেন্সিয়াল প্লট নির্মানের কথা বলা হয়। তবে এলাকা বাসী সচেস্ট থাকায় এতে কিছু নির্মাণ করা যায় নি।
তবে বিশালাকারের এই জলাশয় ভরাট করের মাধ্যমে এই এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা মারাত্নক ভাবে ব্যহত হচ্ছে তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
ঢাকা ওয়াসার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাল ও জলাশয় ভরাট হয়েছে—এমন এলাকায় জলাবদ্ধতার পরিমাণ বেশি। রাজধানীর পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনের কাজে যুক্ত এই সরকারি সংস্থাটির হিসাবে মোট সাতটি এলাকায় বেশি জলাবদ্ধতা হচ্ছে।
ওয়াসার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, জলাবদ্ধপ্রবণ এলাকাগুলো হচ্ছে মিরপুর (১০ নম্বর গোল চক্কর থেকে শুরু করে ১১, ১৩ ও ১৪ নম্বর), বাড্ডা, ধানমন্ডির রাপা প্লাজার চারপাশের এলাকা, ফার্মগেট, পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড, মালিবাগ, মৌচাক, বেইলি রোড, মগবাজার, খিলগাঁও, শান্তিনগর, মতিঝিল, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, রাজারবাগ, গুলশান ও আরামবাগ এলাকা।
এ এলাকাগুলোর বৃষ্টির পানি একসময় সেগুনবাগিচা খাল, জিরানি খাল, বাসাবো খাল ও বেগুনবাড়ী খালের মোট ৪৩ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে নিষ্কাশন হতো।
ঢাকার চারদিকে বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ নদী ছিল এবং ঢাকার অভ্যন্তরে ৫৪টি খাল সহ আরো অনেক ছোট বড় পুকুর, ডোবা, বিল-ঝিল ছিল। এই ছোট ছোট জলাধার গুলো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর সাথে কানেকটেড ছিল। প্রাকৃতিকগত ভাবেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল তা আমাদের অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে হয়েছে। যার মাশুল এখন আমাদের দিতে হচ্ছে।
নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলেও তাঁদের ক্ষমতা সীমিত। নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত মিলে ৫৪টি সংস্থা কর্মরত। এদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকট।
দ্বিতীয় যে কারণটি আগেই উল্লেখ করেছি তা হল রাস্তাঘাট-নর্দমায় পলিথিন-প্লাস্টিক সহ পানিতে অদ্রবণীয় নানারকমের পদার্থ ফেলা।
আমরা পথেঘাটে বাদাম-চানাচুর-চিপস-চকলেট-আইসক্রিম ইত্যাদি খেয়ে কাগজের ঠোঙ্গা বা মোড়ক ফেলি কোথায়? ডাস্টবিন আমাদের চোখে পড়ে না, আমরাও খুঁজি না। চোখে পড়লেও তার অবস্থা এতই শোচনীয় থাকে যে, আমরা তার কাছে যাওয়ার চিন্তাও করি না। একজন মানুষ কতটা সভ্য তা তাঁর বাসার ড্রয়িং রুম দেখে নয়, রেস্টরুম দেখে বোঝা যায়। ঠিক তেমনি, একটা শহর কতটা সভ্য সেটা বোঝার জন্য পার্ক-মনুমেন্ট-হাইরাইজ বিল্ডিং নয়, দেখতে হয় সে শহরের সুয়ারেজ ব্যবস্থা। আমাদের রাজধানী ঢাকা শহরের প্রায় সব ক’টি প্রধান সড়কের উপর একদম খোলা পড়ে থাকে ডাস্টবিন।
বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে প্রতিদিন কিচেন ওয়েস্টেজ নিতে লোক আসে, তাদের বিল মাসে ৩০ টাকা, অর্থাৎ দৈনিক মাত্র ১ টাকা। এই ১ টাকা উপরের একাধিক ফ্ল্যাটের বাসিন্দা খরচ করতে রাজী নন। ফলে, তাঁদের রান্নাঘর থেকে প্রায় সারাদিনই ধুপ-ধাপ করে এটা-সেটা নেমে আসে নিচে, দুই বিল্ডিংয়ের মাঝখানের প্যাসেজটাকে ভাগাড়ে পরিণত করে। যা নালা-নর্দমায় যায় এবং ভরাট হয়ে যায় ফলে ঐসব বিল্ডিং এর সংশ্লিষ্ট ড্রেন ভরাট হয়ে যায় যা ঐ স্থানের জলবদ্ধতা তৈরি প্রধান কারণ। অথচ আমরা একটু সাবধানি হলেই এড়ানো যেত জলবদ্ধতা।
জলযট বা জলবদ্ধতা এড়ানোর জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
১) ড্যাপ এর সুপারিশমালা গুলো মেনে প্ল্যান ইমপ্লিমেন্ট করা
২) ঢাকার জলাশয়গুলো যা এখনো ভরাট হয়নি তা সংরক্ষণ করা
৩) ঢাকার সেই ৫৪টি খালের ২৫টি খাল চিহ্নিত করতে পেরেছে ঢাকা ওয়াসা তা পুনরুদ্ধার করা।
৪) ড্রেনেজ রিলেটেড যে অর্গানাইজেশন আছে তাদের সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা; প্রয়োজনে এই অর্গানাইজেশনগুলো একত্র কাজ করার জন্য একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান তৈরি করা।
৫) ড্রেনেজ পাপলাইনগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।
৬) যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলা এবং নর্দমা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
এজন্য সরকার, জনপ্রতিনিধি, মেয়র, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনগণ সকলের সম্মিলিত প্রয়াশ ও চেস্টায় গড়ে তুলতে পারি এক বসবাসযোগ্য সুন্দর ঢাকা।
লিখেছেন মামুন চৌধুরী
লেখকের ফেইসবুক লিংকঃ Mamun Chowdhury
রেফারেন্সঃ
১) ঢাকা কিভাবে বাঁচবে?
২) জলবদ্ধতা বনাম দায়বদ্ধতা
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭