কাঞ্চনজঙ্ঘা
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় শুনেছিলাম..... কিন্তু এর আগে যখন গেছি তখন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সৌভাগ্য হয়নি। দেখার সুযোগ হবেই বা কিভাবে!... তেঁতুলিয়া থেকে সারা বছর-তো আর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়না! সাধারণতঃ অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আকাশে যখন মেঘ থাকেনা, আবার কুয়াশাও পড়া শুরু হয়নি... শুধুমাত্র তখনই তেঁতুলিয়া থেকে দেখা যায় বরফে ঢাকা ধবল পাহাড়ের চুড়া...দার্জিলিং-এর কাঞ্চনজঙ্ঘা! এবার মোক্ষম সময়ে তেঁতুলিয়ায় গিয়ে দূর থেকে দেখে এলাম চমৎকার সুন্দর সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা! বাংলাদেশের আর কোন প্রান্ত থেকে কোন বরফ ঢাকা পাহাড় চুড়া দেখার সুযোগ পাবেননা আপনি।
তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা.... সকালের ছবি।
একটু কাছ থেকে..... জুম করে তোলা।
আরও কাছে টেনে এনে তোলা....
ছবিতে তেঁতুলিয়ার ধানক্ষেত আর কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঝখানে যে কালচে পাহাড়টা দেখা যাচ্ছে...ওই পাহাড়ের এপারের ঢালে শিলিগুড়ি শহর। রাতে তেঁতুলিয়া থেকে শিলিগুড়ির আলো দেখা যায় স্পষ্ট। ওই পাহাড়েরই অপর ঢালে দার্জিলিং। দার্জিলিং-এ যারা বেড়াতে যান...তাঁদের কাছে প্রধান আকর্ষণ বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর সূর্যোদয়ের সময় দিনের প্রথম সূর্যকিরণের ঝিকিমিকি!... অভুতপূর্ব সে এক ভাললাগা দৃশ্য!
তেঁতুলিয়া থেকে এত ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়না। সকাল আট-টা থেকে সূর্যকিরণ যখন তেজ হতে থাকে তখন স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। সকাল দশটা পর্যন্ত বেশ ভাল দেখা যায়। তারপর আস্তে আস্তে আস্তে ঝাপসা হতে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। শেষ বিকেলে সূর্যকিরণ আবার যখন তির্যক হয়ে পড়ে বরফ পাহাড়ে... তখন অপূর্ব মহিমায় অন্যরূপে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা!
বিকেলের রক্তিম আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা!
তেঁতুলিয়ার আরও কিছু ছবি...
মহানন্দা নদী, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া, বিএসএফ-এর ওয়াচ টাওয়ার....তার উপরে কাঞ্চনজঙ্ঘা!
তেঁতুলিয়া বাজারের তেঁতুল গাছ!
মহানন্দার পাড়ে.. টিলার উপরে.. তেঁতুলিয়ার চমৎকার জেলা পরিষদ ডাকবাংলো। ডাক বাংলোর মূল অংশটি বৃটিশ আমলে তৈরী.. যা এখন নো-মেন্স ল্যান্ডে পরেছে!
৪৩৬ নম্বর সীমান্ত পিলার। ছবিতে বামের চা বাগান-টি ভারতীয় ভূ-খন্ডে.... ডানের সড়কটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।
মেরা লাডলী অনিন্দিতা দাঁড়িয়ে ভারতীয় ভূ-খন্ডে... আমি ক্যামেরা হাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের মাইলফলক.....