১।অপু এবং নাছের দুই বন্ধু একই অফিসে চাকরি করে।
অপু: দোস্ত, কত দিন ধরে ছুটি পাই না। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না।
নাছের: হুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে পারব, দেখবি?
বলেই নাছের টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড ধরে ঝুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বস এলেন।
বস: এ কী নাছের! তুমি ঝুলে আছ কেন?
নাছের খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার আমি লাইট, তাই ঝুলে আছি।’
বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং এক সপ্তাহের ছুটি নাও।’
নাছের অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বিদায় নিল।
অপু চেয়ে চেয়ে দেখল। নাছের বেরিয়ে যেতেই সেও নাছেরের পিছু নিল।
বস: সে কী! ছুটি তো ওকে দিয়েছি! তুমি কোথায় যাচ্ছ?
অপু: কী আশ্চর্য! লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে?

২।এমাদ ও তার স্ত্রী কফিশপে কফি পান করতে গেলেন।
এমাদ: তাড়াতাড়ি কফি পান করো। ঠান্ডা যেন না হয়ে যায়।
স্ত্রী : কেন?
এমাদ : দেয়ালে দেখো চার্ট টাঙ্গানো রয়েছে
.গরম কফি ৫০ টাকা আর ঠান্ডা কফি ১০০ টাকা।

৩।সেদিন অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল।
তখন একজন দরবেশ টাইপের বৃদ্ধলোকরাস্তায় একটি বই বিক্রি করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল।
রহিম সাহেব রাস্তা দিয়ে তাড়াহুড়া করে বাসায় যাচ্ছিলো এবং হঠাৎ করে বৃদ্ধলোকটি র বইটি তার চো্খে পড়লো।
রহিম সাহেবের বইটি ভাল লাগল। সেবইটি ৩০০০ টাকা দিয়ে কিনলো।
বৃদ্ধলোকটি রহিম সাহেবকে সতর্ক করে দিয়ে বলল, “বইটিরশেষ পৃষ্টা কখনো খুলবে না, তাহলে তোমার অনেকবড় বিপদ হবে।”
… রহিম সাহেব বাসায় গিয়ে বইটি অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ে শেষ করলো। কিন্তু ভয়ে কিছুতেই বইটির শেষ পৃষ্টা খোলার সাহস পেল না। সে শেষ পৃষ্ঠা না খুলে রেখে দিলো।
কিন্তু ১ সপ্তাহ পর রহিম সাহেবের অনেক আগ্রহ জাগলো শেষ পৃষ্টায় কি আছে দেখার জন্য।
শেষ পৃষ্টা খোলার সাথে সাথেসে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
এমন কি জিনিস সে দেখলো যে সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে গেল?…
সে শেষ পৃষ্টায় দেখেছিলোঃ
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
লেখা আছেঃ
সর্বোচ্চ খুচরা মুল্য ৩০ টাকা।

৪।উকিল সাহেব হস্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেক আগেই । উকিল গিন্নী অবাক হয়ে বললেন কোন দিকে চাঁদ উঠল আজ । এত সকাল সকাল সাহেব যে বাড়ী চলে এলেন । সে কথা পরে বলছি, উকিল সাহেব বললেন, আগে তোমার যাবতীয় কাপড় চোপড় আর গহনাগুলো শিগরীর তোমার বাপের বাড়ীতে রেখে আসো ।
আরো অবাক হয়ে গিন্নি বললেন, ওমা সে কি কেন ?
আজ এক অতি কুখ্যাত চোরকে বেকুসুর খালাস দিয়ে এসেছি। সে নাকি সন্ধার পর কৃতজ্ঞতা জানাতে আসবে।


