গুগল টুলবার হচ্ছে ব্রাউজারের জন্য একটি এক্সটেনশন যা গুগলের বিভিন্ন সেবা ব্যবহারকে আরো সহজ করে দেয়া ছাড়াও যে ওয়েবসাইটটি খোলা রয়েছে তার পেজর্যাংকও দেখিয়ে থাকে। তবে ডিফল্ট অবস্থায় এটি ব্যবহারকারীর বিভিন্ন কার্যক্রম ট্র্যাক করতে থাকে। অপশন থেকে ট্র্যাক করা বন্ধ করার সুবিধা থাকলেও সম্প্রতি একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আবিষ্কার করেছেন যে, ট্র্যাকিং বন্ধ করে রাখলেও গুগল তাদের টুলবারের সাহায্যে আপনার গতিবিধির রেকর্ড রাখতেই থাকে । খবর ম্যাশএবল এর।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বেন এলডারম্যান তার ওয়েবসাইটে এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছেন। দেখা গেছে যে, ট্র্যাকিং অপশন বন্ধ করে তিনি হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন। তারপর তিনি হিস্ট্রি (গুগল টুলবারের ট্র্যাক করা) পরীক্ষা করে হোয়াইট হাউজের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন।
শুধু তাই নয়, এলডারম্যান আরো অভিযোগ করেছেন যে, গুগল টুলবারে ট্র্যাক করার বিভিন্ন অপশন বন্ধ করার চেয়ে চালু করা অধিকতর সহজ! ব্যবহারকারীরা নিজেদের অজান্তেও ট্র্যাকিং চালু করে ফেলতে পারেন। অবশ্য ট্র্যাকিং বন্ধ করলেও যেহেতু গুগল সক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর গতিবিধির রেকর্ড রাখে, সেহেতু এই সুবিধা চালু হওয়া বা না হওয়ায় কিছু যায় আসে না বলেই এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন।
বেন লিখেছেন যে, গোপনীয়তা নিয়ে চিন্তিত থাকলে গুগল টুলবার একেবারে ইনস্টল না করাই ভালো। কেননা, এছাড়া গুগলকে দমানোর কোনো উপায়ই নেই! অবশ্য ব্রাউজারে গুগলের যে কোনো সেবায় (জিমেইল, গুগল সার্চ ইত্যাদি) লগইন করে থাকলেও আপনার সমস্ত কার্যক্রম রেকর্ড করে রাখে গুগল।
ম্যাশএবল জানিয়েছে, গুগল তাদের ব্যবহারকারীদের ইমেইলের নিরাপত্তা ভাঙা নিয়ে বেশ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। পুরো প্রযুক্তি বিশ্বকেই নাড়া দিয়েছে গুগল-চীনের এই ঘটনা। তবে, কারোরই ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় যে, ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট গোপনীয়তা নিয়ে অনেক ঘটনা রয়েছে গুগলের অতীত ইতিহাসে। তাই গুগলকে সাধু ভাবারও কোনো কারণ নেই।