যে মেয়েটি পুরো পরিবারের কাজ করছে, তাকে ডাইনিং টেবিলে বসে খাওয়ার সুযোগ নাইবা দেওয়া হলো, তবে তাকে পরিবারের সবাই যা খাচ্ছে, তা অন্ত ত দেওয়া যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অনেক পরিবারের চিত্র রয়েছে ভিন্ন, তারা কাজের মেয়ের জন্য ভিন্ন খাবারের ব্যবস্থা করে, যা সামাজিক আচরণের ক্ষেত্রে বেমানান। আমরা যা খাই, কাজের মেয়েকেও তা খেতে দিলে তার মনে কখনো হীনমান্যতা দেখা দেবে না বরং সে সম্মানিত বোধ করবে এবং কাজেও উৎসাহ পাবে।
কাজের মেয়েকে যেটুকু সম্মান আমাদের দেওয়া উচিত তাতো দেই-ই না বরং কেউ বাসায় এলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের সঙ্গে গৃহিণীরা বলতে থাকে আমার কাজের মেয়েটি খুব ফাঁকিবাজ ও কোনো কাজ করতে চায় না। এ ধরনের আচরণ কাজের মেয়ের মন দুঃখ দেয় এবং কখনো হিংস্র করে তোলে। অন্যের সামনে কাজের মেয়েটিকে তাচ্ছিল্য না করে যদি পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ও আমার পরিবারের একজন। ওর হাতে রয়েছে আমাদের পুরো সংসার। ওর কারণে আমরা দুজন চাকরি করতে পারছি, তা না হলে একজনকে চাকরি ছেড়ে দিতে হতো। এভাবে যদি অন্যের কাছে কাজের মেয়েকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সে সংসারের কাজের প্রতি বেশি আগ্রহী ও মনোযোগী হবে। কারণ কাজের মেয়েটি বুঝতে পারবে সে পরিবারের জন্য অনেক বড়ো ভূমিকা রাখছে।
কাজের মেয়েরও চাওয়া-পাওয়া আছে। সে না চাইতেই আপনি তাকে একটি সুন্দর জামা কিনে দিলেন, মন তার আনন্দে ভরে যাবে এবং কাজে উৎসাহ পাবে। সপ্তাহে একদিন যদি কাজের মেয়েটিকে নিয়ে আপনারা কোথাও বেড়িয়ে আসেন, তাহলে সে আপনার সংসারের কাজের প্রতি আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে। প্রতিদিনের একঘেয়েমি কাজের মধ্যেও সে নতুনত্ব খুঁজে পাবে। আপনার পরিবারের কাজের মেয়ের কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, তাহলে কাজের মেয়েরা তার কর্মক্ষেত্রকে আপন করে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০