A kiss is a lovely trick designed by nature to stop speech when words become superfluous-জনৈক লেখক
চুমো ভালোবাসার প্রতীক ,চুমো আবেগের প্রতীক ।অনেক চুম্বন ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে ,আবার কিছু চুম্বন ইতিহাসকে করেছে বিতর্কিত । আজ সেইরকম কিছু বিখ্যাত চুম্বনের ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
জুডাসের চুমোঃ যীশুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা
জুডাস ছিলো একজন বিশ্বাসঘাতক , ৩০ রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে জুডাস যীশুকে রোমান সৈন্যদের হাতে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করে । রোমান সৈন্যদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, জুডাস লাস্ট সাপারের পরে যীশুর গালে চুমো খাবে , এবং জুডাসের চুমো দ্বারাও যীশুকে সনাক্ত করা হবে। ঐ চুমোটা ছিলো একটা ইশারা মাত্র এবং লাস্ট সাপারের পরে যখন জুডাস , যীশুর গালে চুমো খায় তখনই রোমান সৈনিকরা যীশুকে চিনতে পারে এবং যীশুকে গ্রেপ্তার করে ।
সেই বিখ্যাত চুম্বন যার মাধ্যমে নারীরা কামড়ানোর অধিকার পায়ঃ
১৮৩৭ সালে ইংল্যান্ডের ঘটনা , এক পার্টিতে এক ভদ্রলোক এক নারীকে চুমো খেতে যায় , কিন্তু চুমোতে সেই নারীর ইচ্ছা ছিলোনা , যখন ভদ্রলোক , নারীকে চুমো খেতে যায় তখন ভদ্রমহিলা সেই পুরুষের নাকে কামড় দেয় । পরবর্তীতে ভদ্রলোক নাক কামড়ানোর অভিযোগ নিয়ে আদালতে গেলে , আদালত রায় দেয় যে “যদি কোন পুরুষ , কোন নারীর অনিচ্ছাসত্ত্বেও চুমো খেতে চায় , তাহলে সেই নারীরা পুরুষের নাকে কামড় দিতে পারবে”
তাই ভাইয়েরা একটু সাবধান থাকেন
চলচিত্রে দীর্ঘতম চুমো
১৯৪১ সালে নির্মিত চলচিত্র “you are in army now” চলচিত্রে দীর্ঘতম চুম্বনের ঘটনা ঘটে , চুম্বন দৃশ্যের ব্যাপ্তি ছিলো ৩ মিনিট ৫ সেকেন্ড
সর্বাধিক চুম্বন দৃশ্য সম্বলিত চলচিত্রঃ
১৯২৬ সালে নির্মিত Don Juan নামের ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট ব্যাপী চলচিত্রে মোট ১৯১ টি !!! চুম্বন দৃশ্য রয়েছে
চুম্বনের জন্য বিখ্যাত সেই ভাস্কর্যটি
ভাস্কর্যটির নাম Rodin’s Kiss নির্মিত হয় ১৮৮৬ সালে। ভাস্কর্যে ছেলেটি আর মেয়েটি যথাক্রমে Paolo Malatesta এবং rancesca da Rimini যারা মূলত দান্তের ডিভাইন কমেডির চরিত্র এবং যারা খুন হয়েছিলো ভালোবাসার জন্য
যে ভাস্কর্যটির সর্বাধিক চুমো খাওয়ার সুযোগ হয়েছিলোঃ
উপরের ছবিতে ভাস্কর্যটি মূলত ষোড়শ শতকের এক ইতালির সৈনিকের , ১৮০০ সালের দিকে এই ভাস্কর্যকে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পরে যে , কোন নারী যদি এই ভাস্কর্যকে চুমো খায় তাহলে সে খুব ভালো স্বামী খাবে , এই গুজবের পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ মিলিয়নের মত নারী এটিকে চুমো খায় । এবং অতিরিক্ত চুম্বনের ফলে এই ভাস্কর্যটির ঠোট অনেকাংশে লাল হয়ে গেছে ।
যে চুম্বনটি হয়েছিলো ভালোবাসা এবং বিজয়ের প্রতীক
১৯৪৫ সালের ১৪ ই আগস্ট নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে হাজারো মানুষ সমবেত হয়েছিলো , জাপানের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিজয় উৎযাপনের জন্য । সেইসময় একজন নাবিক এবং একজন সেবিকা পরস্পরকে চুমো খায় , পরবর্তীতে সেই ছবি পেপারে ছাপা হলে অনেক নারী এবং পুরুষ দাবী করে যে ছবিটা তাদের।
চুম্বন এবং খ্রীস্টান্দের বিশ্বাসঃ
খ্রীস্টানদের মতে স্রস্টার চুম্বনের ফলেই , মানব দেহে আত্মার সঞ্চারন হয়েছিলো
“And the Lord God formed man of the slime of the earth: and breathed into his face the breath of life, and man became a living soul.” [Genesis 2:7]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০২