গ্রীকপুরাণ মতে ডিডেলাস ছিলেন একজন বিখ্যাত ভাস্কর । কথিত আছে তার নির্মিত ভাস্কর্যগুলো বা মূর্তিগুলো জীবিত মানুষের মত নড়তে পারতো ।
ডিডেলাসের এক বোনের ছেলে নাম টালুস সেও ডিডেলাসের কাছে কাজ শিখতো , এবং কিছুদিনের মধ্যে টালুসের সুনামও চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। ডিডেলাস এতে খুব ঈর্ষান্বিত হয় , একদিন সে কৌশলে টালুসকে ছাদ থেকে ফেলে দেয় , টালুস মারা যায় । দেবী এ্যাথিনি টালুসের দেহকে একটি পাখিতে পরিনত করেন। টালুসকে হত্যার জন্য ডিডেলাস, এথেন্সের রাজা অ্যারিওপেগাস কর্তৃক দোষী বিবেচিত হন। এ সময় জীবন বাঁচাতে ডিডেলাস ক্রিটে পালিয়ে যান।
ক্রিটে থাকার সময় ক্রিটের রাজা এক দাসীর সাথে ডিডেলাসের বিয়ে দেন । বিয়ের পর ডিডেলাসের দুই সন্তান হয় একজনের নাম ইকারুস এবং অপরজনের নাম ল্যাপিক্স । এই ইকারু, ডিডেলাসের মত স্থাপত্য বিদ্যায় দক্ষ হয়ে ওঠে । ডিডেলাস এবং ইকারুসের সুনাম সারা ক্রিট জুড়ে ছড়িয়ে পরে।
ডিডেলাস ক্রিটের রাজা মাইনসের জন্য একটি গোলক ধাঁধা তৈরী করে দেন , যার উদ্দেশ্য ছিলো মিনেটোর
(অর্ধেক মানব অর্ধেক ষাঁড়) কে বন্দী রাখা। কিন্তু ডিডেলাস মাইনসের শত্রু থেসাসকে সাহায্য করার জন্য অ্যারিয়াডনি(মাইনসের কন্যা) কিছু সূত্র (গোলক ধাঁধায় টিকে থাকার জন্য) প্রদান করে । এতে রাজা মাইনস ক্ষিপ্ত হয়ে ডিডেলাস ও তার পুর ইকারুসকে কারাগারে নিক্ষেপ করে ।
জেল থেকে পালানোর জন্য ডিডেলাস মোম এবং পাখির পালকের সাহায্যে দুই জোড়া পাখা নির্মান করে ।
একজোড়া ইকারুসের জন্য এবং আরেক জোড়া তার নিজের জন্য । ডিডেলাস ইকারুসকে বার বার সতর্ক করে দেয় যে , সে যেন কখনোই বেশী উপরে না ওঠে ,কারন এতে সূর্যের তাপে মোম গলে যেতে পারে ।
কিন্তু ইকারুস তার পিতার কথায় কান দেয় না , আকাশে ওড়ার আনন্দে সে সব ভুলে যায় ,
একসময় উড়তে উড়তে অনেক উপরে উঠে যায় , তখন সূর্যের তাপে মোম গলে গিয়ে তার পাখা ভেঙ্গে যায় আর ইকারুস সমুদ্রে পতিত হয়ে মারা যায়।
[ আপনারা অনেকেই হয়তো এই গল্প জানেন , কিন্তু আমি এই গল্পটা আজ প্রথম খুজে পেলাম ,তাই শেয়ার করলাম । ভুল ত্রুটি হলে ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো ]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৪