ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে-
প্রেমিক হয় জীবন্ত লাশ, আর প্রেমিকা!
সুখ স্বাচ্ছন্দে করে স্বামীর বাড়িতে বসবাস।
হয়তো হবেনা কেউ দ্বিমত এখানে, আমিও না;
তবুও ভালোবাসি, ভালবাসে মানুষ ধরণী তলে।
ভালোবাসার আঠা বলতে যা বুঝেছি-
তার নাম হলো বিশ্বাস।
আমার তো মনে হয় এমনই-
বিশ্বস্ত না হয়ে কভু জয় করা যায়না কারো মন।
বিশ্বাস এক দিনে হয়না গাঢ় কখনো কারো প্রতি,
অনেকদিনের হিসেবের জের-যোগফলে-
তিলতিল করে জমতে থাকে হৃদয়ের মনিকোঠায়।
সেই বিশ্বাসে একবার মজলে মন
মন মানুষের সাথে ঘর বাঁধতে লাগেনা বেশিক্ষণ।
ভালো'বাসলে বিশ্বাসে বাঁধা পড়ে যায় বিচারবুদ্ধি,
আর, অবিশ্বাসে ভালোবাসা হারায় মন-
জীবনের চারিদিক তখন ভরে ওঠে তিক্ততায়।
অন্তরে তুষের আগুন বলতে যা বুঝি-
তার নাম দিয়েছি অবিশ্বাস,
যা তিলে তিলে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে-
নিঃশেষ করে দেয় হৃদয়ের সমস্ত সুখ-
স্বাদের জীবনে নেমে আসে বিতৃষ্ণা, নাভিশ্বাস।
বিশ্বাস অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে পড়ে-
কতো প্রাণ বেঁচে থেকেও স্বাদ নেয় মৃত্যুর...!
তা কজনইবা জানতে পারি!
অগোচরেই থেকে যায় সবসময় ঝরা ফুলের গন্ধ।
অবিশ্বাস মনের ভিতর পুষে রাখতে নেই,
প্রকাশ করতে হয় মুখ ফোটে;
প্রকাশ'ই দিতে পারে-
অবিশ্বাসের বিষাক্ত দুঃসহ বেদনার থেকে মুক্তি।
ঝরে পড়া ফুল আর ঝরাপাতার গল্প-
কেউ শুনতে চায়'না,
ব্যর্থ জীবনে আসেনা কভু পূর্ণিমা রাত-
সুখের আলো! সেতো সবসময় থেকে যায় অধরা!
মন তখন অশান্ত,
প্রশান্ত মহাসাগরীয় মোহনা যেন নয়ন যুগল;
তফাৎ-হীন আমার সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত,
নির্ঘুম রাতে বড়ই বিষাক্ত- একাকীত্বের ছোবল।
বহুকাল আমি রাত্রির বুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছি,
নিকষকালো আঁধারের বুকচিরে-
শূন্যময় জন-বিরহকাতর পথের সাথে করেছি বন্ধু্ত্ব;
কতনা কষ্টে ব্যথাহত হৃদয়ভারে হয়েছি সিক্ত!
কেউ ছিল না ওই ঝলসানো চাঁদটি ছাড়া!
রাত্রি চাঁদ আর অাঁধারের সাথে এই প্রেম বহুদিন ধরে,
বহুকাল একসাথে আমাদের এই পথচলা;
আজও আমি দাঁড়াতে পারলাম না শেষপ্রান্তে,
এই পথের আজও হলো না শেষ....!
রয়ে গেলাম আগের মতই- অধরাই থেকে গেলে তুমি।
___
অধরাই থেকে গেলে তুমি' - ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮'ইং, ঢাকা
(ছবিটি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার বোয়ালী ব্রিজের নিচে নৌকা থেকে তুলেছিলাম পনেরো সালে।)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:২৬