কি'হে ও'ভাই কাঁদিস কেনে-একলা বসে পথের ধারে,
কিসের এতো বিষণ্ণতা-কার বিরহে কি যাতনা;
পুড়িস কিসে কার বিহনে-আঁকস ছবি দূর দিগন্তে,
ভাবিস কেনে যাচ্ছে বেলা-পুড়িস কেন কার ছলনা?
কেমন'রে তোর মনের ধরণ-ভালোবাসা করিস বরণ,
মনের ঘরে রাখিস তারে-ভালোবেসে খুব যতনে;
ভাবিস কিরে একলা এখন-কার প্রেমে এই নীরব কথন,
স্বপ্ন বুনিস মনের ফ্রেমে-উদাস চোখে এই বিকেলে?
কি বলি ভাই তোমার সনে-প্রিয়া আমার অনেক দূরে,
কতো দিন হয়'না কথা-পাই'না একটু চোখের দেখা;
এই যাতনা বলবো কারে-বিষণ্ণতা মনের ঘরে,
সূর্য দেখো মেঘে ঢাকা-প্রিয়া বুঝি বড়ই একা!
বুঝি না তার কথার ধরণ-ভালোবাসি তবুও ভীষণ,
কেমন করে বুঝাই তারে-নিঃস্ব আমি তার বিহনে;
অপরূপ সে দৃষ্টিনন্দন-মনের ঘরে করছি বরণ,
অলস সময় এই বিকেলে-পুড়ছে এ'মন তাকেই ভেবে।
এই'তো সেদিন হাতটি ধরে-বললো কত বিনয় করে,
স্বপ্ন দিল ভালোবাসার-ইচ্ছে ভীষণ ঘর বাঁধিবার;
দুজন মিলে একটি ঘরে-স্বপ্ন সাজাই সেদিন থেকে,
কষ্টে সময় যাচ্ছে আমার-তাকে ছাড়া সবই আঁধার!
ও'ভাই আমার মন মানেনা-বাঁচতে না'চাই তাকে ছাড়া,
বলছে প্রিয়া আসবে ফিরে-সেই আশাতেই পথের ধারে;
একলা মনের কতো কথা-জমছে, বাড়ায় বুকের ব্যথা,
আর কতদিন এমনি করে-থাকবো চেয়ে বন্ধুর পানে!
বিশ্বাসে বাড়ে ভালোবাসা-মিটুক'রে তোর মনের আশা,
মনটা রাখিস শক্ত করে-মনের মানুষ আসবেই ফিরে;
বোকার মতো ভেঙে পড়া-সাজে কেবল নির্বোধ যারা,
ভালো যদি বাসে তোরে-থাকবি'রে তার মনের ঘরে।
ভালোবাসার এমনি দাহন-ভাঙিলে মন নাই'রে বাঁচন,
যদি না সে আসে ফিরে-পুড়বে সেও প্রেম আগুনে;
রইল দোআ ভেবে আপন-হোক তোদের সুখের মিলন,
শ্রদ্ধা রাখি তোদের প্রেমে-কষ্টে তুই আর পুড়িস না'রে।
বন্ধু বিনে একলা থাকা-কেউ জানেনা সেই বেদনা,
দিন যদিও ভালো কাটে-বাড়ে জ্বালা রাত্রি কালে;
নিঝুম রাতি একা জাগা-চোখের জল আর নীরবতা,
সবার মানা মন পুড়াতে-অবুঝ হৃদয় বোঝে না'রে!
দুচোখ জুড়ে তার অপেক্ষা-আসবে বন্ধু দিবে দেখা,
ভরবে হৃদয় তাকে দেখে-শূন্যতা মোর যাবে কেটে;
দিবে আমায় ভালোবাসা-পূর্ণ করবো মনের আশা,
অবুঝ হৃদয় কাজের ফাঁকে-এমন মধুর স্বপ্ন দেখে।
(ক্ষমা করবেন, লেখাটি ১৯৯৮ইং সালের আমার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আজই লিখেছি। জানিনা কি হয়েছে। লিখেছি যখন রেখেই দিলাম)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৯:৪২