ইদানীং কিছু মূর্খ জাহেল প্রশ্ন করে বেড়াচ্ছে যে, ফেইসবুকে বা টুইটারে গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন করে পোস্ট করে কি লাভ হবে? খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন, এরা রাজনীতি সম্পর্কে অসচেতন, অধিকাংশ সময়ই ব্যয় করে উল্টা পাল্টা পেইজের পিছনে বা হলিউড বলিউডের নায়ক নায়িকার পিছনে ঘুরপাক খেয়ে।
ঐ সব মূর্খ জাহেলকে বলছি, ১৯৭১ সালে জর্জ হ্যারিসন ও রবি শংকর মিলে যে, কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর আয়োজন করেছিলেন তার ফলে আমাদের কি উপকার হয়েছিল? উত্তর, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে মানুষ জানতে পেরেছিল, সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছিল, বহির্বিশ্বের সরকার ও জনগণের সমর্থন আদায়ে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। এখন আশা করি বুঝতে পেরেছো, ফেইসবুকে বা টুইটারে গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন করে পোস্ট করলে কি লাভ হবে!
তোমরা কি জানো না, ইস্রায়েলীরা গাজায় একদিকে যেমন বোমা বর্ষণ করছে, অন্যদিকে ইলেক্ট্র্নিক, প্রিন্ট, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত প্রচার প্র্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।এবার ইস্রায়েলীদের প্রশ্ন করো, প্রচার প্র্রচারণা চালানোর কি দরকার? ইস্রায়েলীরা মিডিয়ার ক্ষমতা ভালো করেই জানে।
আলজাজিরার একটি ভিডিও লিংক শেয়ার করলাম, যেখানে ১৭ই জুন থেকে ১৭ই জুলাই পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহৃত হ্যাশট্যাগগুলোর (#SaveGaza, #GazaUnderAttack, #GazaUnderFire ইত্যাদি) তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, একই সাথে ফুটে উঠেছে গাজা ও ইস্রায়েলের প্রতি বিশ্বব্যাপী তুলনামূলক সমর্থনের চিত্রও।
stream.aljazeera.com/projects/socialmediaconversation
সবশেষে, ঐ সব মূর্খ জাহেলদের বলছি, আপনার গাজাবাসীর প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমর্থন প্রকাশে অনিহা থাকলে আপনি করবেন না, কিন্ত্ত যারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করছে, মনের ভাব প্রকাশ করছে, গাজাবাসীর প্রতি জনসমর্থন আদায়ে সচেষ্ট, দয়া করে তাদের নিরুৎসাহিত করবেন না।