ভন্ড বামদের পবিত্রভূমি রাশিয়া যে, কত বড় মাপের সাম্রাজ্যবাদী তা আবারো আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ইউক্রেনের দিকে তাকালেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। খালি ক্রিমিয়া দখল করেই রাশিয়া তুষ্ট হতে পারছে না। এখন পুরো ইউক্রেনের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছে। অতীতে আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠিয়ে তাদের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র উন্মোচিত করেছিল। মানুষ ভুলে গেছে, তাই হয়তোবা আবারো সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। একসময়তো পুরো মধ্য এশিয়া আর পূর্ব ইউরোপ দীর্ঘ সময়ের জন্য দখল করে রেখেছিল।
প্রিয় পাঠক, আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি বলছি না যে, আমেরিকা ধোয়া তুলসী পাতা। আমেরিকা যেরকম সাম্রাজ্যবাদী, ঠিক তদ্রূপ রাশিয়া একটি সাম্রাজ্যবাদী। এই চরম সত্যটা এ দেশের বামেরা লুকিয়ে রাখতে চায়। তুরস্কের গেজি পার্কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তুরস্কের পুলিশ কঠোর অবস্থান নিলে এ দেশের বামদের গায়ে আগুন লেগে যায়, রাস্তার ধারে দাড়িয়ে তুরস্কের (তাদের ভাষায় মৌলবাদী) সরকারে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। অথচ ব্রাজিলে ও ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভকারীদের বিপক্ষে যখন সে দেশের সরকার কঠোর অবস্থান নেয়, তখন এরা মুখে কুলুপ এটে বসে থাকে। মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর যখন বৌদ্বরা বর্বর হামলা চালায় তখন তো এরা প্রতিবাদ করেনা। চিন্তা করুন, কি ভয়ঙ্কর রকমের দ্বিমুখী আচরণ।
এদের কেউ কেউ অন্তরে ধর্মীয় বিদ্বেষ লালন করা সত্ত্বেও লোকদেখানো ধর্ম কর্ম করে। বিপ্লবের নামে বিশৃঙ্খলা ফিৎনা আর প্রগতিশীলতার নামে নাস্তিকতার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেয়ায় এদের প্রধাণ কাজ। এরা দ্বিমুখী নীতি বিশিষ্ট। এদের অন্তরে এক আর মুখে আরেক। আপনারা কি জানেন, ইসলামে এই সব দ্বিমুখীনীতি বিশিষ্ট দ্বিপদীদের কি বলে? উত্তর, মুনাফিক। সুতরাং এদের থেকে সাবধাণ।