যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে দেশ তোলপাড়, আমি চাই সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাসিঁ... কারন তারা পুরো জাতীর সাথে বিরোধীতা করেছে তাদের জন্যই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে এত এত মানুষ শহীদ হয়েছে

গন জাগরন দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছে, ঘুনে ধরা জাতী আজ জেগে উঠেছে। তাদের ঘুম ভেঙ্গেছে কিন্তু একটা বিষয় কষ্ট দিচ্ছে রাজনৈতীক কারনে যেমন বিএনপি জামায়াত/শিবির নেতাদের ফাসিঁ চায় না, বিচার বাতিল করতে চায় আবার আওয়ামীলীগে যে সব রাজাকার/যুদ্ধপরাধী আছে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে।
যেমন: # স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ৯ মাস ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) ছিলেন। পাকিস্তান রক্ষার জন্য রাজাকার বাহিনী নিয়োগ কর্তা ছিলেন।
# খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লেবার মিনিষ্টার, হাসিনার বিয়াই । ৭১ সালে তার বাড়িতেই পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিলো। মোশারফের বাবা ছিলেন ফরিদপুরের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান।
# এইচ এন আশিকুর রহমান। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ। বর্তমানে রংপুর-৫ আসনের এমপিএবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধকালে আশিকুর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা।
# সাজেদা চৌধুরী। সংসদ উপনেতা। শেখ হাসিনার ফুফু। পাকিস্তানের গেজেট করা রাজাকার। ৭/৮/১৯৭১ তারিখের পাকিস্তান সরকারের গেজেটবদ্ধ।
# এ ছাড়া ১৯৯৬ এর কেবিনেটে জামালপুরের নুরু রাজাকারকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বানিয়েছে আওয়ামীলীগ



তারা কেন পাড় পাবে, আওয়ামীলীগের চামচা'রা নিজের বিবেক'কে প্রশ্ন করুন আপনাদের দলে কি কোন যুদ্ধাপরাধী নেই??? তাদের নিয়ে কেন কথা হবে না। এখানে রাজনৈতীক দিক টেনে আনবেন না... লক্ষ একটাই সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার। বিএনপি/আওয়ামীলীগ/জামাত বুঝি না। আশা করি যারা যুদ্ধপরাধীর মামলায় বাদ পরেছে তাদের নিয়েও জনগন প্রতিবাদ করবে, আর গন-জাগরনে একদল নাস্তিক এসে বলবে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতী বন্ধহোক সেটাও মানতে পারছি না, মনে রাখতে হবে যুদ্ধাপরাধীর বিচার এটাই মূখ্য বিষয় এটা থেকে ঘটনা যেন অন্যদিকে মোড না নেয়

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮