ভারতী রানী রায়। জীবন সংসার চালাচ্ছেন চুন তৈরি করে। বাঙালীদের কোন পালা পর্বন বা অতিথিয়তা বা অভ্যাসের কারণেই হোক, পান ছাড়া কি চলে। সেই পানের একটি উপাদান চুন। সেই চুন তৈরি করেন ভারতী রানী রায় সহ প্রায় পুরো গ্রামের অধিবাসীরা। যেন এটি এক চুন গ্রাম। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পূবের গ্রাম চুনিয়াপাড়া। চুন তৈরির জন্য গ্রামটি চুনিয়াপাড়া নাম হয়েছে। গোলাকার মাটির বিশেষায়িত চুলা। ভারতী রানী রায় চুলার উপরে খড়ি দিয়ে কয়েক স্থরে ঝিনুক সাজিয়েছেন। চার থেকে পাঁচ বস্তা ঝিনুক একবারেই পোড়াবেন। আগুন জ্বালিয়ে দিলেই ঝিনুক গলে চুন আকারে স্তুপ জমে
ভারতী রানী রায় জানান, গ্রামটিতে প্রায় ৬০ টির মত পরিবার এ কাজের সঙ্গে জড়িত। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে দুই থেকে তিনটি চুলা। প্রতি সপ্তাহে ভারতী চার থেকে পাঁচ মন চুন উৎপাদন করতে পারেন। প্রতি কেজি চুন বাজারে বিক্রি করেন ১৫ টাকা কেজি দরে।
সে গ্রামের আরেকজন চুন তৈরির কারিগর সাহেব বাবু। সাহেব বাবু জানান, পাশ্ববর্তী নদী বাহিত এলাকাগুলো থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করা হয়। গ্রামগুলো থেকে প্রতি বস্তা ঝিনুক ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে কিনে আনা হয়।
দিনাজপুর সদরের এই চুনিয়াপাড়া গ্রামের চুন বিক্রয় হয় প্রায় পুরো উত্তর বঙ্গ জুড়েই। এটি একটি ক্ষুদ্র শিল্পের সৃষ্টি করেছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে চুনিয়াপাড়ার উৎপাদিত চুন সারা দেশে বিপনন করা সম্ভব বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৫ জুন ২০১৯ দিনাজপুর সদরের এই শিল্প উদ্যোগ পরিদর্শন করি...
তথ্য ও চিত্রঃ
মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন
সভাপতি, আলোর পথে জাগো দিনাজপুর।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৪