রহিম উদ্দীন, থাকেন নোয়াখালী
মেঘনাপাড়ের বাসিন্দা রহিম উদ্দীনের ৬টি ছেলে। মেঘনাপাড়ের আর দশটা পরিবারের মতই তাদেরও সুখে-দুঃখে দিন কাটছিল।
শুরু হল প্রকৃতির নির্মম খেলা।
মেঘনার ভাঙনে বিলীন হতে শুরু করল আবাদি জমি, বসত-বাটী। রহিম উদ্দীন সব খুইয়ে পথে বসল। কিছুদিন পর মেঘনার অপর পাড়ে চর জেগে উঠতে শুরু করল। রহিম ঊদ্দীন তার ৬ ছেলেকে নিয়ে অপর পাড়ের এক চরে বসতি স্থাপন করল। ভালই চলছিল। হঠাত একদিন স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র চক্রান্ত শুরু করল- তাদের হঠিয়ে দেয়ার জন্য। শুরু হল সহিংসতা। রহিম উদ্দীন একে একে তিন সন্তান হারাল। সে সময় নোয়াখালি ছিল উত্তাল। শুনেছি ইলিশ ধরতে জেলেরা যখন গাঙে জাল ফেলত অনেক সময় তখন নাকি মাছের বদলে উঠে আসত মানুষের মাথা। তিন সন্তানের মৃত্যুর পরও সে এখনও সেখানেই আছে।
বন্ধ হয়নি সহিংসতা, একটু কমেছে মাত্র। তবে কমেনি মেঘনার ভাঙন। ভাঙনরোধে কোন সরকার নেয়নি কোন পদক্ষেপ।
আবার চর জেগে উঠছে মেঘনার অপর পাড়ে। আবার বসতি স্থাপনের চেষ্টা করছে নাম না জানা অনেক রহিম উদ্দীন।
রহিম উদ্দীন ভাবছে- "রহিমুদ্দির ৬টি ছেলে থাকল বাকি তিন!"
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১