তিনি নিউক্লিয়ার ট্রান্সপ্ল্যানটেশন ও ক্লোনিং নিয়ে গবেষনার জন্য বিখ্যাত।
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কারণঃ পূর্ণাঙ্গ/ পূর্ণবয়স্ক কোষকে আদি কোষে রূপান্তরের প্রক্রিয়া আবিস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি নোবেল পান।এক কথায় Reprogramming of mature cells নিয়ে অনবদ্য কাজের জন্য তিনি নোবেল পান।
২০১২ সালে Shinya Yamanaka এর সাথে উনি ফিজিওলজি/মেডিসিন ক্যাটাগরিটে নোবেল পুরস্কার পান।
বিজ্ঞানের রাজ্যে এক সময় সবাই ভাবতো পূর্ণবয়স্ক কোষকে আদি অবস্থায় ফেরানো যায় না। কিন্তু স্যার জন ১৯৬২ সালে এটা ভুল প্রমাণ করতে শুরু করেন। ল্যাবে তিনি ব্যাঙের fertilized egg নিলেন এবার সেই egg থেকে nucleus গায়েব করলেন।এ যেন ম্যাজিকের শুরু। fertized egg থেকে nucleus সরিয়ে তিনি ব্যাঙাচির intestine এর কোষের নিউক্লিয়াস fertilized egg এ প্রতিস্থাপনে সক্ষম হন। Modified egg টা নতুন একটা ব্যাঙে বেড়ে তোলা হলো।
স্যার জনের গবেষনার উৎকর্ষ সাধনের কাজ কিন্তু চলছে।
Shinya Yamanaka ; আরেকজন বিজ্ঞানী তিনি ও reprogramming of mature cells নিয়ে গবেষনা করছিলেন। তিনি আরো কিছুটা অগ্রসর হলেন। তিনি ইদুরের modified cell এ প্রদত্ত জিনগুলোর কিছু সনাক্ত করতে সক্ষম হলেন। মি জন এবং shinya yamanka এর কাজ নতুন বিষয়ে আলোকপাত করতে লাগলো যে reprogramming of mature cells এর মাধ্যমে যে কোন কোষ তৈরি করা যাবে। অর্থাৎ এবার স্নায়ু কোষের মতো কোষও regenerate করা যাবে।
প্রাতিষ্ঠানিক পথচলাঃ
মি জন Oxford University থেকে zoology বিষয়ে পড়াশুনা করেন।Zoology তে পড়া শেষে এবার ভদ্রলোকের সামনে Entomology তে পি এইচ ডি করার সুযোগ এলো।তিনি অক্সফোর্ডের ছাত্র হিসেবে Wytham Woods নামক Oxford University's nature reserve এ প্রবেশের অনুমতি পেলেন।
কি নিয়ে কাজ করবেন তিনি? ঠিক হলো প্রজাপতি নিয়েই কাজ করা যাক।প্রজাপতি নিয়ে প্রথমেই বাধলো মস্ত বড় গন্ডগোল।
গোল মালের কারণটা কি ? মি জনের জালে ধরা এই প্রজাতির identification কেউ করতে পারছেনা। কিন্তু মি জন'ত দমে যাওয়ার পাত্র নন ।লন্ডনের ন্যাশনাল হিস্টোরি মিউজিয়ামের সাহায্য চাইলেন তিনি।তারা জানালো এটা ব্রিটেনে পাওয়া নতুন এক ধরনের saw fly। মি জন তার কাজে খুশি হলেও ইচড়ে পাকা ছাত্রের কাজে Entomology এর প্রফেসর সাহেব কিন্তু ভীষন অখুশি হলেন ।ফলাফল মি জনকে প্রফেসর সাহেব PhD student হিসেবে রিজেক্ট করলেন।
ঘুরে ফিরে আবার সেই Oxford এ ফিরে আসেন Mr.John।
এবার এখানে John Gurdon ;Developmental Biology তে PhD করার সুযোগ পান।
কখনও কখনও প্রত্যাখান আপনার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসতে পারে ।মি জনের জীবনেও তাই হলো।
Developmental biology তে পথ চলার পর আর তাকে থামতে হয়নি।
সকালের সূর্যই বলে দেয় দিনটা কেমন যাবে!
কথাটা কি সব সময় ঠিক?
এতোক্ষন মি জনের জীবনের দুপুর গড়িয়ে গোধূলী বেলার কথা বলছিলাম।আসেন দেখি ভদ্রলোক স্কুলে কেমন ছিলেন?
সময়কাল ১৯৪৯; Biology বিষয়ে আজকের Sir John B.Gurdon উনার স্কুলে ২৫০ জন ছাত্রের মধ্যে পেছন থেকে সবার প্রথম হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞানের বিষয় গুলোতে তার অবস্থান তলানিতে।শিক্ষকরা উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন বাবা বড় হয়ে কি হতে চাও? বোকা ছেলের সহজ উত্তর বিজ্ঞানী!
বোকা ছাত্রের স্পর্ধা দেখে তার এক শিক্ষক বলেছেন-এই ছেলে বিজ্ঞানী হতে চায়। যদি তাই হয় তবে তা সত্যই অদ্ভূত ব্যাপার হবে।
ব্যাক বেঞ্চার John B.Gurdon কিন্তু হাল ছাড়েননি।উনি শুধু বিজ্ঞানীই হন নি সারা বিশ্বে বিজ্ঞানের সবচেয়ে সম্মানিত পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন।
সমস্ত ব্যাক বেঞ্চার এর জন্য শুভ কামনা রইল।যারা school,college এ frontline এ ছিলেন/আছেন তারা'ত ভালো এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই।তবে ক্লাসের ব্যাক বেঞ্চ আমার কাছে কেন যেন প্রথম থেকেই বেশ সমৃদ্ধ মনে হয় :p।
Courtesy: Jackie Barua;
Chittagong Medical College & Hospital.
তথ্যসূত্রঃ
http://www.nobelprize.org/…/laureates/2012/gurdon-facts.html
http://www.nobelprize.org/…/…/laureates/2012/gurdon-bio.html
https://goo.gl/ls4kZF
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২