বউ কউ গেলি তুই।
এই যে এই হানেই আছি ।আইতাসি।
দশরথ মাঝি অপলক দৃষ্টিতে বউকে দেখছে।
বউঃ অমন কইরা কি দেহেন!
দশরথ মাঝিঃ তোরে দেহি।(মনে মনে দশরথ ভাবে সেই ছোট্ট পুতলার মতো বউটা আইজ আমার কত্ত যত্ন নেয়া শিখছে হুহ)
পেটের টানে প্রেম প্রেম রেশ কেটে যায়।
দশরথ ছুটে চলে পাহাড়ে জীবিকার সন্ধানে।
কোন এক দুপুরে পাহাড়ে দশরথের খাবার পৌঁছে দিতে যেয়ে পা পিছলে গভীর খাতে পরে মারাত্নক আহত হন ফালগুনী।দশরথের বুকটা খাঁ খাঁ করে ওঠে কেমনে বউটারে বাঁচানো যায়।কেমনে বউটারে মরার ঘর থিকা ফিরাইয়া আনা যায়।
কিন্তু কোন ভাবনাই কাজে আসে না কারণ দশরথের গ্রাম থেকে পাহাড়ি পথে ৫৫ কিমি পথ গেলে তবেই শহর ।এক সময় দশরথের প্রাণ প্রিয় স্ত্রী মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
দশরথের পাহাড়ের প্রতি ঘৃণা আর বউয়ের প্রতি ভালোবাসায় শোককে শক্তিতে পরিণত করে কঠিন এক ব্রতে নেমে পড়ে। সে পাহাড় কেটে গ্রামের মানুষের জন্য শহরে যাওয়ার সহজ রাস্তা বানাবে যাতে আর কোন ফালগুনী বুক খালি করে দিয়ে হারিয়ে না যায়। দিন নয় মাস নয় ২২ বছর সময় ধরে সে কাক্ষিত রাস্তা তৈরিতে সক্ষম হন উত্তর বিহারের বাসিন্দা দশরথ মাঝি।
দশরথ আবার ও প্রমান করলেন মানুষের অদম্য ইচ্ছা,পরিশ্রম, অধ্যবসায়,ভালোবাসার কাছে দুনিয়ার যে কোন বাঁধা মাথা নত করতে বাধ্য। স্যালুট দশরথ!!
সম্প্রতি "Manjhi-The Mountain Man" নামে দশরথের দিন গুলোকে বলিউডের পাতায় তুলে ধরা হয়েছে:
দশরথকে Dedicate করেঃ
[বিঃদ্রঃলেখাটাতে কিছুটা কল্পনার রং মেশানো হয়েছে]
dailymail.co.uk
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৬