সালাহদীন তব কেন এত ঘুম কাঁদেনা একটু প্রাণ,
ফিলিস্তিনের মাটিতে আজিকে বইছে রক্তবান।
হায়েনা পশুর আঘাতে আঘাতে ধ্বংস হল যে সব,
বন্ধ হল যে তোমার মাটিতে জীবনের কলরব।
নির্যাতিতের কান্নায় আজ আকাশ বাতাস ভারী,
ঐ শোনা যায় নিষ্পাপ শিশুর ক্রন্দন আহাজারি।
রক্ত নদীতে ভিজে গেছে আজ ফিলিস্তিনের মাটি,
হারাল কোথায় তোমার সেনারা বুকেতে ঈমান খাঁটি।
আমরাই কাঁদি- তুমি তো ঘুমাও মাটির কবরগাহে,
তোমার প্রজারা জ্বলছে দেখগো আজিকে তীব্রদাহে।
নেতারা তো আজ রাজপ্রাসাদে আরাম সুখের ঘুমে,
শীতাতপে শুয়ে রত কামনায় প্রিয়ার অধর চুমে।
ক্ষমতার লোভ অর্থের ছানি ঈমান নিয়েছে কেড়ে,
রাজপ্রাসাদেই ঠিকানা তাদের রাজপথ গেছে ছেড়ে।
মজলুম ঐ নারী ও শিশুর শোনেনা আর্তনাদ,
ক্ষমতার লোভ তাদের বিবেকে দিয়েছে শক্ত বাঁধ।
ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুরা বাঁচাতে পারেনা প্রাণ,
ভোগ বিলাসের জন্য নেতারা বানায় সোনার যান।
তুমি এস বীর বের হয়ে এস হাতে নিয়ে শমশের,
ভেঙ্গে দাও সব রাজপ্রাসাদ আর কেল্লা বিলাসের।
সবেরে টানিয়া রাজপথে আন ছিড়ে ফেল আভরণ,
উম্মাহ আজ তোমার আশাতে রয়েছে মরণ পণ।
নেতার আশাতে কেঁদে কেঁদে মরে মুসলিম উম্মায়,
কে আসে যে নকীব হয়ে কোথা সে আজিকে হায়।
একীভূত হবে জমিনের সব মুমিন মুসলমান,
হয়ে যাবে সবে একই দেহ আর হৃদয়ে অন্তপ্রাণ।
তুমি নেই বলে দেখ কত আজি বদমাইশ দুরাচার,
ইসলামকেই জিহাদের নামে করছে তো ছারকার।
মুসলিম আজ শত পথে চলে একতা নাইতো মানে,
নিজেরা নিজেরা হানাহানি করে ধ্বংসই ডেকে আনে।
প্রার্থণাঃ
আল্লাহ্ মালিক দুই হাত পেতে চাই যে তোমার কাছে,
মজলুমদের করো রহমত, তুমি ছাড়া কেবা আছে।
ভেঙ্গে দাও সব অত্যাচার আর বিলাসের মসনদ,
ইনসাফ যারা ভুলে গেছে আর ঈমান হয়েছে রদ।
ওমর নতুবা সালাহদীন সম দাও নেতা উম্মায়,
আবার যেন গো মুসলিম সবে একসাথে হয়ে যায়।