ঢুশ খেয়ে হুশ হওয়ার মত দুর্নীতিতে ধরা খেয়ে এখন সরকার বলে বেড়াচ্ছে কারো কাছে আর হাত পাততে চাই না, দাড়াতে চাই নিজের পায়ে। হাস্যকর সব কথাবার্তা!! সরকার এখন চাচ্ছে প্রকল্পটি নিজস্ব অর্থায়নে করতে। জনগনের উপর আরো অতিরিক্ত কিছু ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে তারা তাদের নির্বাচনী ওয়াদা পুরন করতে চাচ্ছে। প্রসঙ্গত পদ্মাসেতুটি ছিল আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ওয়াদা এবং সরকারের এই মেয়াদে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য ঘোষনাও দিয়েছিল তারা। যদিও দেশের একাংশ মানুষের এটি ছিল স্বপ্নের সেতু। কিন্তু দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে যখন তারা প্রত্যাখাত হল ঠিক তখনই তাদের বোধোদয় হল নিজ পায়ে দাড়াবার, এর আগে তারাই ভিক্ষার থালি নিয়ে হাত পাততে দ্বিধা করেনি বিশ্ব দরবারে । এখন নিজস্ব অর্থায়নের সেই ঘোষনাকেই কেন্দ্র করে সারাদেশে শুরু হয়ে গেছে প্রকাশ্য চাদাবাজি। গতকাল অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের তোপের মুখে চাদাবাজদের নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন এবং এদরেকে চাপকানোর কথাও বললেন। কিন্তু থেমে নেই সেই চাদাবাজির ভয়াল থাবা। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই বিপুল উৎসাহ পেয়েই তারা শুরু করে দিয়েছে পদ্মাসেতুর নামে চাদাবাজির মচ্চব। সব সেক্টর, সব প্রতিষ্টানেই চলছে এই নীরব চাদাবাজি। যদিও এখন পর্যন্ত এর জন্য কোন নীতিমালাই তৈরী হয়নি।
দুর্নীতি যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্যে তারা সুয়োগ পেলেই সেটা করবে এটাই স্বাভাবিক কথা। সেতুর নামে টাকা উঠানোর শুরুতেই টাকার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কামড়া কামড়ি শুরু করে দিয়েছে তারা। গত কয়েকদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষনা দিয়ে ভিসি কর্তৃক ফিতা কেটে উদ্বোধন করে টাকা উঠানো শূরু করে ছাত্রলীগের ছেলেরা এবং সেই টাকার ভাগ নিয়ে প্রচন্ড গুলাগুলি হয় তাদেরই দুপক্ষের মধ্যে। এর ফলশ্রুতিতে তাদেরই একজন বেঘোরে প্রান হারায়। তারপরও থেমে নেই তাদের নির্লজ্জ চাদাবজি।
গতকাল গুরিগুরি বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে ফিরেছি ঘরে। ঘরে ঢুকার সাথে সাথে নিত্যদিনকার মত ছুটে আসে আমার ক্লাস ওয়ানে পড়ুয়া মেয়েটি। অন্য সব কথা বাদ দিয়ে প্রথমেই বলল বাবা, "পদ্মাসেতু বানানোর জন্য একশত টাকা চাদা দিতে হবে" ক্লাসে স্যার/ম্যাডাম সবাইকে বলে দিয়েছে। আমার অবুঝ শিশুটির মুখে চাদাবাজির এহেন কথা শুনে রাগে আমার ব্রম্মতালু জ্বলে গেল। ধমকে উঠলাম তাকে তৎক্ষনাত। কিসের চাদা! কাউকে কোন চাদা দেওয়া যাবে না। দরকার নাই আমার পদ্মাসেতুর, একাটাকাও দিব না আমার কষ্টার্জিত উপার্জন থেকে"। আমার এই জাতীয় কথাবার্তায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে হতচকিত হয়ে মাথা নীচু করে চলে গেল আমার সামনে থেকে। পরে অনেক ভেবেছি, এই অযাচিত ধমকটি তো আমার ঐ অবুঝ শিশুটির পাওয়ার কথা ছিল না। তবে কার জন্য, কাদের কুকর্মের জন্য আমার অবুঝ শিশুটি মন খারাপ করে মাথা অবনমিত করল। ধ্বিক!, ধ্ধিক তাদের........................।