গন্তব্যরেখার পাশেই আমার বসবাস
অথচ "গন্তব্য" বিষয়টি আমাকে বরাবরই স্থবির করে দেয়-
এইসব পরম্পরাময় অথচ সময়ের উপযোগবাদী আচরণ
আমাকে বাধ্য করে একক ঠিকানায়-
ঠিক যেমনটি দেখেছে ঋণভারে ঝরে যাওয়া পাতারা!
আমরা নিজেরাই প্রাপক ও প্রেরক হয়ে
অপেক্ষা করি প্রত্যুত্তরের-
এই স্থবিরতা মানসিক, জানি।
নিয়ম ভাঙার প্রকৌশলী জানে
ভাঙবার প্রাক্কালে ভেঙে পড়ে ধ্বংসের নির্মাতা নিজেই!
দৃশ্যের কাছে দেখতে পাই মুখোমুখি সংঘর্ষ
শব্দের কাছে শুনতে পাই "যে গন্তব্য ভাঙছো তুমি
তার উপর গড়ে উঠবে অত্যাশ্চর্য পিড়ামিড-
পুনরায় স্পন্দিত হবে পৌনঃপুনিকতা"
আমরা যা জানতে গিয়েও বরাবর জানতে ব্যার্থ হই
সেটি জানা-অজানালিপি,সুপ্রাচীন গন্তব্য সেই-
নচেৎ,ভবিষ্যতগামীতার মত করে আকাশে উদাসীন থাকা
মানায় ভালো-
ভবিষ্যৎ কি ঠিকানা হতে পারে?
আমাদের এসব কেন্দ্রমুখী আচরণ জমা থাকে
হবু ঐতিহাসিকের তথ্যানুসন্ধানের জন্য।