অনেকেরই খুব আপত্তি এইসব দিবস নিয়ে। বাবা-মা'র জন্য আবার দিবস কি? আমি দিবসের পক্ষে। প্রতিদিনই আমি আমার মা-কে দেখি। তেমন আলাদা করে কিন্তু কিছু ফিল করি না। আমাদের প্রতিদিনকার স্বাভাবিক জীবনে তো আর স্পেশাল করে কিছু করা হয়ে উঠে না। কোন একটা দিবস আসলে হঠাত করে মনে হয় তার কথা। যারা মা-কে ভালবাসে তারা হয়ত আজ একটু স্পেশাল করে কাটাবে। হয়ত উইশ করবে না। এমনিতেই ঘরে সাজানোর জন্য ফুল কিনে নিয়ে যাবে। খেতে ইচ্ছে করছে বলে মায়ের পছন্দের বিরিয়ানি কিনে বাসায় যাবে। আজ হয়ত সন্ধ্যার আড্ডাটা মায়ের সাথেই দিবে। এই কাজ কি প্রাত্যহিক জীবনে হয়ে উঠে না করা যায়?
এই যেমন আমার ছেলে স্কুল থেকে একটা কার্ড বানিয়ে বাসায় ফিরেছে। তার টিচার নিশ্চয়ই এই কার্ড বানিয়ে দিয়েছে। সে হয়ত এর মর্মও বুঝে নাই। কিন্তু ছেলের মা তো খুশি হয়েছে। এই কাজটা কি প্রতিদিন হবে?
আজকে মা দিবস শুনে একটু ভাবছি মায়ের কথা। অনেকদিন পর লিখছি এই ব্লগে, কেউ হয়ত আজ মা-কে বলবে ভালবাসি। এই তো অনেক। অনেককাল আগে আমার এক বন্ধু আমার মায়ের জন্য কান্না করেছিল। সেই কথাও আজকে মনে পড়ে। এর কোন কিছুর কি দাম নেই?
বন্ধু দিবস শুনলে হয়ত ছেলেবেলার কোন বন্ধুর কথা মনে পড়ে। হয়ত তাকে খুজে বের করার চেষ্টা করি। প্রতিদিন ফোন না দেয়া, দেখা না হওয়া বন্ধুকে ফোন করি। দিবস করা হয় সবার মধ্যে একটু খেয়াল বা সচেতনতা তৈরী করার জন্য। অবশ্যই এ নিয়ে একটা বানিজ্যের ব্যাপার আছে। তা তো সবকিছুতেই আছে। যার যার সাধ্য মত করব। নাইবা কিনলাম গিফট। সন্ধ্যার আড্ডাটাই থাকুক শুধু প্রোগ্রাম।
লোক দেখানো না হোক, প্রকাশ করাটাও খুব জরুরী। 'ভালবাসি' তা যদি মা নাই জানল তাহলে আর কি হল?