অতি সম্ভবতঃ আজ তোমার-আমার পরিচয় বার্ষিকী।
প্রাচীন হৃদ্যতার আবদেন- তুমি কেমন আছো তা জানতে চাওয়া। তোমার ভালো থাকা প্রসঙ্গে আমার প্রত্যাশা সোনালী সূর্যালোকের মতো।
যদিও আমার স্বপ্নগুলো এখনোও ঘোলা জলে ডুব-সাঁতার খেলছে আপন খেয়ালে, তার পরও সব কিছু উপেক্ষা করে ভালো থাকার প্রানান্তকর কৃত্রিম প্রচেষ্টা। তবুও ভাঙ্গা হৃদয়ের ফাঁকে ফাঁকে সুপার গ্লু লাগানোর ব্যস্ততায় বেশ ভালোই আছি এবং অপেক্ষায় আছি অপেক্ষার পালা শেষ হওয়ার অপেক্ষায়।
আজ অনেক দিন গত, তোমার কোন খোঁজ নাই। যদিও এটা একটা কঠিন কাজ, তবুও অন্ততঃ পুরোনো সেই সাঁকোটাতে লোহার লম্বা পেরেক ঠুকতে মেসেঞ্জারের আশ্রয় নিতে পারতে। এতে হয়তো কিছুটা পণ্ডশ্রমই হতো, -এর বেশী নয়।
হৃদ্যতার ক্ষুধা মেটাতে কত অনায়েশে ধূসর জমিনে মাউসের লাঙ্গল চষে বেড়াচ্ছি। মনে পড়েনা, এত বেশী করে কাউকে খুঁজেছি- মনে করেছি কি-না, যতটা তোমাকে।
আজকাল বুকের ভেতরটায় জোৎস্না রাতের ধূ-ধূ মরুর মতো কেমন যেন খা-খা করে উঠে। কিছু বুঝে উঠার আগেই কোথা থেকে যেন অচেনা একটা কন্ঠস্বর আমাকে ডাকে। কেবল ডাকে আর সামনে এগুতে বলে। ক্রোশের পর ক্রোশ হেঁটে গেলে নাকী দেখা পাবো- একটা আগুন রাঙা সূর্য। আসলেই কি তাই ?
আজকের তোমার প্রস্থান দিনে অযুত কোটি চিন্তার ভীড়ে কিছু শব্দপুঞ্জ এসে ঘুরপাক খাচ্ছে আমার অনুর্বর মস্তিষ্কে-
আজকের স্বপ্নগুলো
যদি কোন একদিন-
সোনারোদ গায়ে মেখে,
সফলতার জলে স্নান সেরে
উঁকি মারে-
দক্ষিণের ভাঙ্গা জানালাটায়।
-তো সেই দিন
এই এক বেদুঈন
মেঘের ভেলা ভাসাবে-
দূর নীলিমায়।
না!
জল ফেলবে অনুর্বর মৃত্তিকায়।
অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফেল্লাম, কারন মনের রঙ-তুলিতে তোমার অবস্থার আল্পনা যে আর আঁকা যাবেনা কোন দিনও। সকল স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের সমস্ত পরিচিতজনদের প্রতিই রইলো শুভ কামনা, ক্যানভাসের রঙ-তুলি আর পৃথিবীর সব ভালো কিছুর মতো ভালো থেকো। কামনা এটাই।
কুজ্ঝটিকার তিমিরে অভিভূত
অশ্রুত রোদিত তপন
ত্রিবেদী
(আরও)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৯