আমি ভেঙেছি নিজেরে, খেলেছি নিজেকে নিয়ে
ব্যর্থতা সব ঘুচিয়ে দিয়ে।
তারূণ্য দীপ্ত রাগে-
পুরানের অনুরাগে,
শিল্পীত নিপুন কারুকাজে
কত স্নেহ দীপ্তি ভরে;
গড়েছি সর্গ নব সঙ্গীত সুরে।
আজ রক্তবরণ আবির মেখে-এই প্রভাতে
রেঙেছি রঙে!
বেধেছি মোর নগ্ন হাতে-
সৃষ্টির নব কাঁকন
এ মোর ভাললাগা বাঁধন।
আমি ভিজিয়ে দিয়েছি স্বপ্ন ঝর্ণার জলে-
সুরে সুরে ছন্দেরো তালে,
বিচিত্র সত্ত্বা মোর
আনব পরাণে নব রাঙা ভোর ।
অবগাহন স্বপ্ন মোর ; লোকান্তরে কল্পসারে-
দেখেছি সবখানে লেখা মুগ্ধ মর্মরে
বিস্ময়!
নব সৃষ্টির, উদয় কৃষ্টির বিচিত্র বিস্ময়!!
বিস্ময় নতুন সূর্য রাঙা দিনে !
বিস্ময় বর্ষার জলঝরা দিনে !
বিস্ময় নদী সাগর আর বনে !
বিস্ময় আমার এই দূরন্ত মনে !
বিস্ময় নূতনের বিকাশ তত্ত্বে !
বিস্ময় শেষের বিনাশ তত্ত্বে!
বিস্ময় শিশুর হাসিতে থাকে ভরে !
বিস্ময় পুস্পিত কাননে স্বপ্ন পুরে !
বিস্ময় আমার চির জাগ্রত রূপে !
বিস্ময় তোমার বিকশিত রূপে !
আমার মনের উঠোন, হৃদয়ের দুকূলে-
বিস্ময় শুধু ভাসে পলে পলে!
চির সাধনায় মোর, চির জাগ্রত চিন্তায়-
প্রবাহমানতায়,
স্বপ্নচারিতার নিরন্তর খেলায়-
বিচিত্রতার মেলায় ;
তাকে খুজে যাই!
গাই আগমনী গান, খুলি হৃদয় দুয়ার
দেখা দেয় সমুখে বারবার
বিশ্বলোকের প্রাণ, স্বর্গীয় শোভায়
রোজকার চেনা, চির অচেনা বিস্ময় ।