ছিলেম কিছুকাল মায়ামন্ত্রে ভুলে।
এরপর আবেশ কাটলে
আমি রাখলাম আমার পদতল ;
এ নিষ্ঠুর ধরায়।
সেদিন আমার অবুঝ সে সত্ত্বা-
কেঁপে উঠেছিল কী এক শংকায়!
তার অতটুকু মন-
সেও হয়েছিল বেদনায় ভঙ্গ।
তাই আঁধো বোজা,আঁধো খোলা ভীরু-
চোখে,মুখে- বুকে
বেজে উঠেছিল উচ্চকিত কান্নার ধ্বণি!
তারপর! কত বছর কেটে গেল-
পরিনত হল অবুঝ সত্ত্বাটি মোর
সেদিনও সে দেখল-
প্রস্তর মৃত্তিকায় গড়া সৌম্য মূর্তি পৃথ্বীদেবী
প্রশান্তির হাসি হাসছে।
কিন্তু বোঝা গেল -সে সত্যি নয়
কুটিলতার বহিঃপ্রকাশ-
আমার শিয়রে হায়েনার নিঃশ্বাস!
সেদিন থেকে সবই জানা হয়ে গেল-
এ জগত এক ছলনা।
সে মায়াদেবী মায়ার মন্ত্রে দেয় আঘাত
ছড়িয়ে দেয় ভীতি
আঘাতে আঘাতে আর বেদনায়
ভরে দেয় হৃদয়!
অলখে জানিয়ে দেয়
আঁধার রাণী - ছলনাময়ী সে;
মাতৃরূপে সে এক ঘাতক!
তাং :০৭-০৩-০৭
সকাল সাড়ে নয়টা
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৯