লাবণীতা!লাবণীতা-
এ তোমার সেই নির্ঝরের চিঠি! মনে পড়ে-
যার ভালবাসা,একদিন ঝড়ে পড়েছিল-
তোমার শুভ্র হৃদয়ের উপর!
সেই তীব্র ভালবাসার অম্ল রসে জারিত হয়ে;
তুমি বলেছিলে-
“এত ভালবাসা! থাকবে কী আজীবন ”?
এ সেই নির্ঝরের চিঠি।
না- না, রাগ করে একে ছুঁড়ে ফেল না।
একটু ধৈর্য্য ধরো-
কথাগুলো শোন,দোহাই তোমার।
আমি,আজ আর তোমার প্রেম চাইব না-
তোমাকে ভালবাসব না,
তোমায় বলব না-নতুন কোন স্বপ্ন দেখাত।
লাবণীতা,জানি-আজ তোমার কাছে আমি ধূসর;
বিস্মৃত অতীতের ভ্রান্তি।
তবু শত আশায় বুক বেঁধে-
শত কষ্টকে ভুলে , কিছুটা সময় চোখের জলে-
বেদনা দূর করবার জন্যই লেখা ।
তুমি পারবে কী আজ-
আমার হাতে তুলে দিতে,
তোমার ব্যস্ত জীবনের অমূল্য সন্ধ্যার;
একমুঠো অবসর?
পারবে কী অনিন্দিতা! পারবে তুমি?
হয়ত তোমার সংকোচ হচ্ছে।
কিন্ত সত্যি বলছি-আমি সে সন্ধ্যা বেলায়-
অস্ত রবির আলো ছায়ায়,
তোমায় আলিঙ্গন করব না। তোমার রক্তিম-
ওষ্ঠাধর স্পর্শ করব না।স্বপ্ন দেখবো না!
শুধু - শুধু একটি বার , তোমাকে দেখবো।
দেখব-দু চোখ ভরে ,আজও কী তুমি -
রূপকথার সে অনিন্দিতা,নন্দিতা হয়েই আছ?
এইত আর কিছু নয়।
কী দেবে না?
যদি দাও-তবে হৃদয়ের সাড়া দিও।
পত্রের কোন দরকার নেই।
আমি তাতেই জেনে যাব-
তোমার উত্তর।
তাং ২৭,০৪,২০০৭
বুয়েটের সিভিল ফেস্টিভাল উপলক্ষে বের হওয়া সুভেনির এ প্রকাশিত