গোধূলির ধূসর বেধেছে বাসা ,হৃদয়ে আমার-
আকাশের রক্তিম আভা আর
মনে আনে না সাধ- তোমার ললাটে
এঁকে দিতে টিপের চুম্বন।
যে আঁখি একদিন ছড়াত মায়াঞ্জন,
হাজার কথায জড়ানো তোমার সেই চোখ
নিতান্তই তুচ্ছ এখন। কণা মাত্র তার
নেই আবেদন। অনেক যত্ন,অনেক প্রেম নিয়ে
তিলে তিলে আমায় করেছ শেষ;
গড়েছ বিবর্ণ সমাধি-আমার ভালবাসার
আর কিছু চাই না আমি !
এত ভালবাসার আর নেই প্রয়োজন
নেই কোন দরকার !
কেন এসেছ আজ আবার ?
সেই মায়া ভরা চাহনিতে; বেঁচে আছি কিনা দেখতে?
ভেবনা মরিনি, যদিও হৃদয় মরেছে অনেক আগেই-
তবুও ভালই আছি-মাংসপিন্ডের জড় দেহে
শহরের কোলাহল হীন
অখন্ড নিরবতা নিয়ে। সামনের ওই
বটগাছটার পাশে, ল্যাম্পপোস্টের ধারে
চেয়ে দেখ-শুয়ে থাকা ক্লান্ত পথকুক্কুরটাকে
ওর মত ঘুরেছি দুয়ারে তোমার,
বারংবার-ফিরে এস, দাও সুযোগ একটি বার
ক্ষমা করো শুধু একবার !
দিলে না সুযোগ তুমি, করোনি ক্ষমা
বেশ তো ভালই করেছ, এখন কেন এলে আবার
কেন নাড়া দিলে স্মৃতির দুয়ারে ?
নামহীন নদীর মত, মৃতপ্রায় আজ তুমি
আমার মনে- সুরমা , তুমি হারিয়ে যাও,
শহরের গর্ভে, নিদারূণ কোলাহলে।
সেখানে আমি বড় বেমানান-
বড্ড অপাংক্তেয়!
নিঃসঙ্গতার মাঝেই জীবনের ভাষা আমি
খুজে পাই এখন। এই হিজলের বনে বনে-
ঘুরে বেড়াই ঝিঁ ঝিঁ ডাকা রাতে।
চেয়ে দেখি চির নিঃসঙ্গ চাঁদ
আমার পানে হাত বাড়ায় মাধবী জ্যোৎস্না হয়ে!
ভালোই থাকবো আমি- ভালবাসাময়
তোমার ওই রূপমা ছাড়া !
ফিরে যাও, ফিরে যাও তুমি-অনেক ভালবাসা
নিয়েছি তোমার,আর নেই দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৫৬