যেন এই শিশুটি পরিবারের জন্য, বংশের জন্য কলংক, অভিশাপ । কিন্তু শিশুটির দায় কি ? তার বাবা-মার দোষ কি, কিংবা এই শিশুটির সাথে দোষ খোজার কারণ কি ??
কারণটা সামাজিক দৃষ্টিভংগির । শিক্ষিত পরিবার হবার পড়ে যেন সেই সব কুসংস্কার থেকে বেড়িয়ে আসা ছিল শক্ত, কেননা সামাজিকভাবেই এখন বিষয়টিকে অভিশাপ বলে ধারণা করা হয় । শিশুটিকে নানারকম পরীক্ষা করানো হলো, হ্যা শিশুটি অটেস্টিক তবে সেই প্রভাব খুবই সামান্য । দুই বছরের শিশুটি এখন হাটতে পারেনা, কথা বলতে পারেনা । বেশকিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর ডাক্তার যখন ঘোষণা দিলো যে শিশুটি না হাটার কোন কারণ নাই কেননা তার পায়ের গঠন স্বাভাবিক এবং সে কথা বলতেও পারবে । তাপরই কেবল বাবা মা শিশুটির কিছু স্বাধীনতা বাড়িয়ে দিলো । আর মাত্র ১৫-২০ দিন পরই দেখা শিশুটি অনেকরকম শব্দ বলছে, কথা বলার চেষ্টা করছে তবে দাড়ানো শিখেছে কিন্তু এখন হাটতে পারে না । ডাক্তার ব্যায়েমের পরামর্শ দিয়েছেন........
যে কারণে এই বিষয়টি অবতারণা তার কারণ হলো, আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা মাত্র ১৫ দিনে শিশুটির পরিবর্তন দেখে । শিশুটি যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বড় হতো তবে আমার ধারণা এতোদিনে সে হাটতে কিংবা কথা বলতে পারত । কিন্তু বাবা-মার লজ্জার কারণে আড়াল করে শিশুটিকে এমন করা হয়েছে ।
মনেরাখা দরকার কোন অভিষাপ কিংবা শাররীক সমস্যার কারণে অটেস্টিক বেবীদের জন্ম হয়না । এটি জেনেটিক সমস্যা । তাই অটেস্টিক বেবী নিয়ে লজ্জা বা ক্ষোভের কিছু নেই । শিশুটি ।ন্যান্য শিশুদের চেয়ে চাই বেশী যত্ন এবঙ সেবা । এই শিশুদের পড়ালেখার জন্য এখন স্কুল রয়েছে তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে দিলে আমার ধারণা তাদের এই সমস্যা গুলো অনেকখানি কমে যাবে ।
তারা মানুষ, চাই এই সব শিশুদের ব্যাপারে সামাজিক দৃষ্টিভংগির বদল ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮