এবারের ইত্যাদি অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের একটি চমৎকার বিবরন পেলাম। গর্বে বুকটা ভরে গেল।
জাপানের কারিগরি সহযোগিতায় এই প্রজেক্ট শেষ হলে, ঢাকা একটু যানজটমুক্ত হবে বলেই বিশ্বাস করছি।
তবে এই রেলকে কতোটা পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে এই নিয়ে এখনই আমি শঙ্কিত।আর কর্তৃপক্ষ বিনাভাড়া নিয়ে সোনার ছেলেদের সঙ্গে কতোটা কুলিয়ে উঠতে পাড়বে সেটাও দেখার বিষয়।
হয়তো এখনি কোন লিগের কর্মী চিল্লায়ে উঠবে এটা আমাদের শেখ হাসিনার উপহার, তিনিই এটা দেশে এনেছে ব্লাব্লাব্লা।
হ্যাঁ স্বীকার করতে হবে বর্তমান যুগে যানজট এড়িয়ে দ্রূত কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মেট্রোরেল অপরিহার্য ছিল।
আর আড়াই হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা নিতে এই সরকারের কোন বাধার মুখেই পড়তে হয়নি।কারন সংসদে যুক্তি তর্কের কেঊ নেই। তিন টার্ম জবরদস্তি করে সরকারে থেকে এখন যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে তাদের বেগ পেতে হয়না।
এবার সেই লিগকর্মীরা আবারো চিল্লায়ে বলবেন পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখবে।
তাহলে শুনুন আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কির্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন। বিশ্বের এই দৃস্টি নন্দন ও ব্যয়বহুল ভবনটি যিনি উপহার দিয়েছিলেন, আমরা অনেকেই তাকে জানিনা বা তার নামই নিইনা। সে ছিল আরেক স্বৈরাচার ফিল্ড মার্শাল আয়ুব খান। কিন্তু তার আমলে ঢাকার আরো অনেক স্থাপত্য যেমন নূতন এয়ারপোর্ট, জিপিও ,কমলাপুর রেল স্টেশন ইত্যাদি। যদিও আইয়ুব খান তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনে সমাপ্তি না করেই গদি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর অর্থনৈতিক সংকটে শেখ মুজিব সংসদ ভবন আর শুরু করতে পারেনি।তার মৃতুর পর প্রেসিডেন্ট জিয়া আবারো কাজে হাত দেন। এমনকি আজকের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও।
এতো কথা বলার কারন হচ্ছে, এইসব উন্নয়নের ভাগীদার আমরা অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগন।
স্বৈরাচার যুগে যুগে আসে এবং গায়ের জোরে দেশ দখল করে বসে যায়, শেষ সময়ে জনগণের অর্থেই কিছু করে নিজের নামটা রেখে যাওয়ার ব্যর্থ চেস্টা করে।
এটাই নিয়তি। পদ্মা সেতু থাকবে, মেট্রোরেল থাকবে। থাকবেনা তিনি এবং তার নাম !!!