টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার দুরুত্ব সম্ভবত প্রায় ১০০০কিমি। ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে চেপে এই দুরত্ব পাড়ি দেবার লোক হয়তো একজনও পাওয়া যাবে না। কিন্তু ১০০-১৫০কিমি পথ পাড়ি দিয়ে অনেক মোটরসাইকেল চালকই ঈদটি পরিবার পরিজনদের সাথে করতে চান। কাজটি তিনি খুব আনন্দের সাথে করেন বিষয়টি এমন নয়। রোজা রেখে রোদের মধ্যে জানজট ঠেলে শত কিলোমিটারের অধিক পথ পাড়ি দেয়া কোনো আরামদায়ক কাজ নয়। তবুও অনেকেই বাধ্য হয়ে করেন এর কারন বাস/ট্রেন/লন্চ এ টিকিট না পাওয়া। সেগুলোতে অস্বাভাবিক ভীড় এবং সবচেয়ে বড় কথা রাস্তায় জ্যাম।
ঈদে যে পরিমান লোক যাতায়াত করে থাকেন তার ভগ্নাংশও হবেন না যারা মোটরসাইকেলে চেপে ঈদ করতে যান। নিরাপত্তার অযুহাতে এবার তাদের উপরে খবরদারীর নোটিশজারী করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
একজন মোটরসাইকেল আরোহীর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হলে দেখতে হবে তার মোটরসাইকেল ঠিক আছে কিনা, তার গাড়ীর কাগজ আছে কিনা, তিনি হেলমেট ব্যবহার করছেন কিনা, তিনি ১জনের বেশি সাথে নিয়েছেন কিনা এবং সবচেয়ে বড় কথা তিনি রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলছেন কিনা। কোনো চালক যদি এগুলো মেনে চলে তাহলে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে যেতে সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে মোটরসাইকেলের উপরে খবরদারী মুলত রাস্তায় মোটরসাইকেল আরোহীদের হয়রানী করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। রাস্তায় কিছু দুষ্টু পুলিশের ঈদ বোনাসের ব্যবস্থা হবে এইসব মোটরসাইকেলচালকদের থেকে আদায়কৃত উপহার থেকে।
এব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে বিষয়টি নিয়ে আরেকবার ভাবার জন্য
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪