somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোটরসাইকেল ভ্যালী
মোটরসাইকেল ভ্যালী ২০১২সালের ২৫শে জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং সর্ব বৃহৎ মোটরসাইকেল বিষয়ক ওয়েবপোর্টাল। মোটরসাইকেল বিষয়ক তথ্য, দাম, সংবাদ, রিভিউ, টিপস, শোরুমের ঠিকানা সহ মোটরসাইকেলের প্রায় সব কিছুই রয়েছে এখানে।

ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল কেন কিনবেন?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে জ্বালানির অন্যতম উৎস হিসেবে জ্বালানি তেল ব্যবহার করা হয়, সেটি ডিজেল/পেট্রোল বা যেটাই হোক। বিশেষকরে যানবাহনের এর ব্যবহার সর্বাধিক। জ্বালানি তেল ব্যবহারে নির্গত ধোয়া পৃথিবীর বায়ূমন্ডলে কার্বন মনো অক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে পৃথিবীর চারিদিকে আবৃত ওজনস্তর ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পৃথিবীতে একদিকে সুর্যের ক্ষতিকর রশ্মি প্রবেশ করছে, অন্যদিকে পৃথিবী দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ফলে চারদিকেই জ্বালানি তেল ব্যবহারে আরো সতর্ক হওয়া বা তেল ব্যবহার কমানোর জন্য বলা হচ্ছে। আকাশের বিমান থেকে শুরু করে মাটির মোটরসাইকেল পর্যন্ত সব কিছুতেই এখন জ্বালানি হিসেবে বিদ্যুত ব্যবহার শুরু হয়েছে। পৃথিবীব্যাপী সকল যানবাহনই এখন বিদ্যুতচালিত করা হচ্ছে। বিশ্বের নামী দামী ব্রান্ডগুলো ইলেক্ট্রিক যানবাহন তৈরী শুরু করে দিয়েছে। আগামি কয়েক বছরের মধ্যেই ইলেক্ট্রিক বাহনের ব্যবহার ব্যপকভাবে শুরু হবে।


বাহন হিসেবে মোটরসাইকেল যতটা না একশহর থেকে আরেক শহরের যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়, তার থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় শহরের মধ্যেই চলাচল বা গ্রামের মধ্যে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মোটরসাইকেলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বাইক হলো ৫০সিসি থেকে ১২৫সিসি পর্যন্ত। অর্থাত সবগুলোই কমবেশি কমিউটার বাইক। শহর বা গ্রামে ব্যবহারের উপযোগী। আন্ত:জেলা প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য বাইক গুলো উপযুক্ত নয়। বাইকগুলো প্রতিদিন ৪০-৬০কিমি রাইডের জন্য ভালো। আর একটি ইলেক্ট্রিক বাইক আপনাকে এক চার্জে ৬০-৮০কিমি পথ চলার সুযোগ দিবে।

ইলেক্ট্রিক বাইক কি?
এক কথায় বলতে গেলে সাধারন মোটরসাইকেল আর ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেলের মধ্যে পার্থক্য হলো জ্বালানি। সাধারন বাইক চালানোর জন্য ব্যবহার হয় পেট্রোল, আর ইলেক্ট্রিক বাইকে ব্যবহার হয় বিদ্যুত। সাধারন বাইকে পেট্রোল পুড়িয়ে শক্তি তৈরী করে সেই শক্তি দিয়ে বাইক চলে আর ইলেক্ট্রিক বাইকে বিদ্যুতের সাহায্যে মোটর ঘুরিয়ে সেই মোটরে বাইক চলে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইলেক্ট্রিক বাইকের ব্যবহারের সম্ভবনা অনেক। প্রথম কারন হলো আমাদের প্রতিদিনের বাইক ব্যবহারের পরিমান কম যা একটি ইলেক্ট্রিক বাইক সহজেই পূরন করতে পারে। আমরা যেহেতু খরচের বিষয়টি সবার আগে মাথায় আনি, ইলেক্ট্রিক বাইকে তুলনামূলক কম খরচের। সব মিলিয়ে দেশে ইলেক্ট্রিক বাইকের সম্ভবনা অনেক। আর এটি ব্যবহারও লাভজনক। বিশেষ করে আমরা যারা শহর বা গ্রামে অল্প দুরুত্বের যাতায়াতে চলাচল করি তাদের জন্য ইলেক্ট্রিক বাইক হতে পারে আদর্শ বাহন।

ইলেক্ট্রিক বাইকের ভালো দিক
কম জ্বালানি খরচ: সাধারন বাইকের সাথে তুলনা করলে একটি ইলেক্ট্রিক বাইকে জ্বালানি খরচ খুবই কম। রক্ষনাবেক্ষন খরচ কম: একটি ইলেক্ট্রিক বাইক খুবই কম খরচে রক্ষনাবেক্ষন করা যায়, পার্টসের দামও তুলনামূলক অনেক কম।
পরিবেশ বান্ধব: ইলেক্ট্রিক বাইক পরিবেশ বান্ধব। যেহেতু কোন প্রকার জ্বালানি তেল ব্যবহার হয় না, তাই ক্ষতিকারক ধোয়া তৈরী করে না। বায়ূমন্ডল নিরাপদ থাকে। যাতায়াতে কোন শব্দ তৈরী করেনা বিধায় শব্দ দূষন হয়না।
সহজে ব্যবহার যোগ্য: ইলেক্ট্রিক বাইক ব্যবহার খুবই সহজ। আর তাই তরুনরা তো বটেই, বৃদ্ধ এবং নারীরাও সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
মূল্য কম: মূল্য বিষয়টি আসলে আপেক্ষিক। কেননা বাইকভেদে বা কোয়ালিটি ভেদে পরিবর্তণ হবেই। তবুও সাধারন বাইকের সাথে তুলনা করলে মূল্য কমই বলা যায়।

ইলেক্ট্রিক বাইকের খারাপ দিক
১. একটি নির্দিষ্ট সময় পরে ব্যাটারী পরিবর্তন করতে হয় তখন এক সাথে অনেক খরচ হয়ে যায়।
২. এই বাইক ব্যবহারে বেশি দূরে যাওয়া যায় না, কারন চার্জের সীমাবদ্ধতা। চার্জের সময়ও বেশি লাগে। সাধারন বাইকে যেমন পেট্রোল ঢেলেই স্টার্ট দিলাম। এখানে সে সুযোগ নেই। কয়েক ঘন্টা প্রয়োজন পূর্ন চার্জ হতে। ফলে জরুরী প্রয়োজনে সমস্যার কারন হয়ে দাড়ায়।আমাদের দেশে এখনও হা্ইওয়েতে চলার অনুমতি নাই।


সব দিক বিবেচনায় যারা শহর বা গ্রামে বাইক ব্যবহার করতে চান তারা ইলেক্ট্রিক বাইক ব্যবহার করতে পারেন। খরচে কম, ব্যবহারে সহজ এবং সবচেয়ে বড় কথা ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল পরিবেশ বান্ধব।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×