
স্তনকম্প ভুমিকম্প তৈরী করে কিনা, তা নিয়া বিরাট এক এক্সপেরিমেন্ট হয়ে গেছে, গতকাল এপ্রিলের ছাব্বিশে। এই এক্সপেরিমেন্টের আয়োজক আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী জেনিফার ম্যাকক্রেইট। অবশ্য জেনিফার ম্যাডামরে বুবকোয়েকের সরাসরি আয়োজক বলা যায় না, তিনি আইডিয়াটা ব্লগে দিছেন, পাবলিক তা সাদরে গ্রহণ করছে।
ঘটনা এই রকম-
ইরানের এক মোল্লা তার দেশের মিডিয়াতে কয়দিন আগে বলছেন, বেপর্দা, বেশরম মেয়েছেলের জন্য পুরুষ মানুষ বিপথগামী হইতেছে, সমাজে যৌনাচার বাড়তেছে, আর এর ফলে দুনিয়াতে এত ঘন ঘন ভূমিকম্প হইতেছে। হুজুরদের এই রকম কথা আমি ছোটবেলা থেকা শুইনা আসতেছি। কেয়ামতের আলামত হিসেবে হুজুর, বেহুজুর অনেকেই বেপর্দা মেয়েছেলেদের উদাহরণ দেয়। আর দুনিয়ার কোথাও কোনো অঘটন ঘটলে ভাবখানা এমন করে, কী বলছিলাম না!
যাই হোক, সবাইতো আর আলিফ-বে-তে-ছে পড়তে মসজিদে যায় নাই যে, হুজুরদের কথা মাইনা নিবে! ইরানী ওই হুজুর ভূমিকম্পের কারন এত সহজে বাইর কইরা ফেলছে, এইটাও সবাই মাথা নীচা কইরা বিশ্বাস করে নাই। আমাদের জেনিফার ম্যাডাম বিপ্লবী মানুষ। তিনি বললেন, হুজুর তোমার ছাড়ন নাই, এক্সপেরিমেন্ট হবে। গতকাল ছিল সেই এক্সপেরিমেন্ট দিবস। প্রায় দুই লাখ নারীরা এতে অংশ নিছেন। অনেকে ফেসবুকের মাধ্যমে অংশ নিছেন, অনেকে মাঠে-ময়দানে অংশ নিছেন। যে যেইভাবে পারছে সেইভাবে এক্সপ্রিমেন্ট করছেন। আর এই পরীক্ষার ফলাফল হইল, বুবকোয়েকের দিনে আর্থকোয়েক হয় নাই। ভূমিকম্প থেকা পৃথিবী বাইচা গেছে।
ছোট-বড় মিলায়া পৃথিবীতে সারা বছরে প্রায় শ' দেড়েক ভূমিকম্প হয়। তার মানে, গতকাল ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রায় ৩৭%। জেনিফার আপার চ্যালেঞ্জটা কিন্তু মারাত্মক ছিল, তাই না? তিনি খুব দারুণ একটা কথা বলছেন, কথাটা অবশ্য জানা কথা, সেইটা হইল, মানুষের নানানভাবে তার অন্ধ বিশ্বাসগুলারে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। যতই অযৌক্তিক হোক চেষ্টা সে চালাবেই।
আরো বিশদ