ছবি ক্রেডিটঃ ব্লগার কুহক
ছবি বর্ণনায় কাল্পনিক ভালোবাসাঃ প্রথমে ব্লগার অপরিনীতা, পাশে তন্ময় ফেরদৌস, পিছনে ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসা, সামনে ৎঁৎঁৎঁ, পাশে মাহতাব সমুদ্র, পিছনে এ টি এম মোস্তফা কামাল, পাশে ব্লগার মাহবুবুল আজাদ, সামনে ব্লগার এম মশিউর, স্বপ্নবাজ অভি, পিছনে ব্লগার শুভম হাসনাত, পাশে চশমা পড়া তারছিড়া লিমন।
আর ক্যামেরার পিছনে প্রিয় কবি কুহক ভাই। উনার ছবি পরে একদিন আমরা ছবিব্লগ হিসেবে দিব।
============================================
সাহিত্য আড্ডা! নামটা শুনেই যাওয়ার তীব্র ইচ্ছা জাগে মনে। তাই সকল ব্যস্ততা ফেলে ছুটে গিয়েছিলাম এই আড্ডায়। আড্ডায় অনেক ভালো লেগেছে। অনেকেই এসেছিলো এই আড্ডায়। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই না!
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাবো অলওয়েজ ড্রিম (নাইম রানা) ভাইকে; যার সুবাদে এমন একটি আড্ডায় যাওয়ার সৌভাগ্য হল। আজকের আড্ডায় নাইম ভাইকে বেশি ভালো লেগেছে। শুনলাম সামনেই উনার বিয়ে। তাই বিয়ের দাওয়াতের অপেক্ষায় রইলাম।
এরপর যার কথা বলতে হয় সে হল কাল্পনিক_ভালোবাসা। উনি মানুষ হিসেবে চমৎকার। কা_ভা ভাইকে দেখে পুরাই টাস্কি খেয়েছি। উনাকে দেখার আগে ভাবিনি উনি এমন মোটাসোটা একজন মানুষ। কা_ভা ভাইকে চরম আড্ডাবাজ মনে হল। তার সাথে আড্ডা দিতে যে কারোও ভালো লাগবে।
সুদূর যশোর থেকে এসে যিনি আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন ৎঁৎঁৎঁ (ইফতি) ভাই। উনি উনার নিক নামের মতই চমৎকার একজন মানুষ। ভাইয়ের ছোট ছোট দাঁড়িতে একদম কবি কবি লাগছিল। বেশ ভালো লেগেছে ইফতি ভাইয়ের সাথে আড্ডা দিয়ে।
স্বপ্নবাজ অভি ভাইকে পুরাই তামিল নায়কের মত মনে হচ্ছিল! যে যাই বলুক না কেন, অভি ভাইয়ের গোঁফটা দারুন লাগছিল। তামিল নায়ক হিসেবে একদম পারফেক্ট!
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় ভাইকে বেশ নরম-শরম বলে মনে হল। কবিদের সাথে আড্ডা দেওয়া নাকি খুবই কঠিন! কারণ তাদের আড্ডার ভাষাও কবিতার মত কঠিন হয়। দূর্জয় ভাইকেও অনেক ভালো লেগেছে।
কান্ডারী অথর্ব ভাইকে প্রথমে চিনতে পারি নি। উনাকে দেখে মনে মনে ভাবছিলাম, এই জ্ঞানী জ্ঞানী চেহারার মানুষটা কে? পরে নিশ্চিত হলাম_ উনি আমাদের প্রিয় কান্ডারী অথর্ব।
কুহক ভাইকে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার মনে হল। উনার লুকটা চরম লাগছিল। অনেকগুলো ছবিতে পোজ দিয়েছি। কুহক ভাই, ছবিগুলো যদি পেতাম! ব্লগারদের সাথে কয়েকটা ছবিও আমার কাছে অনেক মূল্যবান।
মাহতাব সমুদ্র ভাইকেও যথেষ্ট আড্ডাবাজ মনে হল। তবে আমি নতুন বলে তেমন কথা বলেনি। পরেরবার আমার সাথে কথা না বললে কিন্ত খবর আছে!
স্নিগ্ধ শোভন ভাইকে অনেক শুকনা মনে হল! সারা রাত জাগলে তো এমন শুকনো হবেই। এখন থেকে নিয়মিত ঘুম দেবেন আর শরীরের যত্ন নেবেন।
তারছেড়া লিমন ভাইকেও দেখলাম শেষের দিকে আসতে। উনার সাথে তেমন আলাপ হয়নি। পরের আড্ডায় কিন্তু আলাপ করেই ছাড়বো।
এ টি এম মোস্তফা কামাল ভাইকেও দেখলাম বসে থাকতে। উনার সাথেও কথা বলার সুযোগ মেলেনি।
আমাদের সবার প্রিয় আমিনুর রহমান ভাইকেও দেখলাম সবার শেষে আসতে। উনার সাথে কথা বলার চাঞ্চ পাইনি। পরেরবার আড্ডায় সবার আগে আসবেন। একটু আড্ডা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল।
সবার শেষে বলবো প্রিয় তন্ময় ফেরদৌস এর কথা। উনার সাথেও কথা বলার সুযোগ পায় নি। তবে উনার পাশে যে মিষ্টি আপুটা ছিল, উনাকে খুব ভালো লেগেছে। আপুটার নাম মনে নেই; তবে একটা বিড়ালের বাচ্চা দেখে উনাকে খুশি হতে দেখে পুলকিত হয়েছি। সবার অগোচরে দৃশ্যটা আমার দৃষ্টি কেড়েছিল।
আরো যারা এসেছিলেন এ আড্ডায়ঃ
সাইফুল ইসলাম সজীব
শুভম হাসনাত
অপরিনীতা
ঘুড্ডির পাইলট
এহসান সাবির
মাহবুবুল আজাদ
আর যাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তাদের কাছে স্যরি। পরেরবার যেন তাদের নাম ভুলে যেতে না হয়। পরেরবার সবাই মিলে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে।
বিঃদ্রঃ আজ আমি কারো সাথে তেমন জমিয়ে আড্ডা দিতে পারি নি। প্রথম দিন বলে সবার গতিবিধি লক্ষ্য করছিলাম। কি বলতে কি বলে ফেলবো, তাই কিছুই বলিনি। কেউ গল্প বলে মজা পায়, আর কেউ শুনে মজা পায়! লল!
আড্ডার ফটোসেশন দেখতে কুহক ভাইয়ের এই পোস্টে যান!
যারা আড্ডার খোজ পেলেন না, তাদের জন্যঃ
'সাহিত্য-আড্ডা' গ্রুপে যোগ দিয়ে সাথে থাকুন। পরবর্তী আড্ডার সময় ও স্থান জেনে যাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬