.
১, আধুনিক নগরায়নঃ সুন্দরবনের আয়তন ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার, একবার চিন্তা করেন আমাদের এই ছোট্ট একটি দেশে এতখানি পরিমান জায়গায় জংগল আছে। আমরা কিন্তু আফ্রিকার জংলির চেয়ে কম যাই না। রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হলে কয়েকবছরের মধ্যেই সুন্দরবন ভোগে চলে যাবে।মানুষ তখন সুন্দরবনে কলকারখানা,বাসা বাড়ি, অফিস আদালত গড়ে তুলবে। সেখানে নতুন করে নগরায়নের সৃষ্টি হবে। আমরা ডিজিটাল দেশ গড়তে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাব।
২ বাঘের আক্রমন থেকে রক্ষাঃ প্রতিবছর খবরের কাগজে শুনি বাঘের আক্রমনে সুন্দরবনে অমুক জেলে নিহত,তমুক কাঠুরিয়া নিহত। রামপালে যদি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র একবার স্থাপন করা হয়ে যায় তাহলে সুন্দরবন ঘ্যাচাং হয়ে যাবে তখন বাঘ তো দুরের কথা বিলাই তো খুঁজে পাবেন না।
.
৩ জলদস্যু থেকে রক্ষাঃ পুরো দক্ষিন অঞ্চল যাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ সেই জলদস্যু কোথায় লুকিয়ে থাকে বলেন তো? হ্যা ঠিক ধরেছেন,এই সুন্দরবনেই আস্তানা গড়ে তুলেছে জলদস্যুরা। রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবনে বাঘ ই তো থাকবেনা আর কোথায় জলদস্যু। দেশে তখন কতটা আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে একবার ভেবে দেখেছেন?
.
৫ বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: আচ্ছা ভাই বলেন তো,৭১ এ কোন দেশ আমাদের পাশে না থাকলে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম না? হু ঠিক ধরেছেন, আমাদের বন্ধু দেশ ভারত। অথচ স্বাধীনতার পর এই দেশে যত রাস্তা ঘাট,সেতু,ফ্লাইওভার, রেল পথ সহ যত উন্নয়নের প্রজেক্ট এর কাজ সব দাদাদের নাকের ডগার উপর দিয়ে চায়না,জাপানিজ ও কোরিয়ানরা করে আসছে। এইটা কি ঠিক? বলেন। রামপালের প্রজেক্টের কাজ ভারত করবে। এই প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে আমরা কিছুটা ৭১ এর ঋন শোধ করতে পারব।
.
৬ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন: আমাদের দেশে আয়তনের চেয়ে জনসংখ্যা অনেক বেশি,সরকার নানা পরিবার পরিকল্পনা করেও সফল হচ্ছে না। আমাদের দেশে প্রতি বছর সিডর,আইলা, নার্গিসের মত একটা না একটা সাইক্লোন আসে। এত এত সাইক্লোন আসে অথচ এই সুন্দরবনের জন্য কিছুই হয়না। একবার রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দেন,দেখেন দক্ষিন অঞ্চলে আপনি লোক খুঁজে পান কিনা। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গুরুত্ব কতটা অপরিসীম তা আপনাকে বোঝাতে পারবনা...ব্লা....ব্লা....ব্লা।
(সংগ্রহ ইন্টারনেট)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩২