ইংরেজি সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং
সর্বাধিক গ্রন্থপ্রণেতা চার্লস ডিকেন্স
পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে গভীর
রাতে নীরবে নিভৃতে গিয়ে ডাক বক্সে
লেখা ফেলে আসতেন!
.
এভাবে দীর্ঘদিন তার গল্প কোথাও
প্রকাশিত না হওয়ার পরও তিনি থেমে যান
নি,
.
বাইশ বছর বয়সে তার প্রথম গল্প যখন
বিনামূল্যে ছাপা হয় তিনি আনন্দে কেঁদে
ফেলেছিলেন, এবং পাগলের মত ছুটাছুটি
করতেছিলেন!
.
দীর্ঘদিন পর একটি গল্পের জন্য পাঁচ ডলার
পেয়েছিলেন, কিন্তু তার শেষ
পান্ডুলিপিটির থেকে প্রতিটি শব্দের জন্য
পনের ডলার আয় হয়েছিল তার, ভাবা যায়!
.
কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় যারা
লেখালেখি করতে চায় তাদের উচিত গল্প
না লিখে ব্যবসা করা, অনেক কাটাকুটি
করে একটি গল্প লিখে হয়ত কোন ভাল
পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তিন-চারশ টাকা
পাবেন তার চেয়ে একজন দিনমজুরের
প্রতিদিনের মজুরি ঢেড় বেশী
.
নজরুলের জীবনী গ্রন্থে পড়েছিলাম, যত
টাকা দিয়ে তার সমাধি প্রস্তর নির্মাণ
করা হয়েছিল ঐ টাকা তার শেষ বয়সে
তাকে দান করলে সে অনেক সুখে শান্তিতে
মরতে পারতেন!
.
শেক্সপিয়ারকে চিনে না এমন মানুষ নেই,
তার মৃত্যুর একশ বছর পরেও তার নাম ছিল
সকলের নিকট অজানা, অজ্ঞাত কিন্তু তার
পরে তাকে নিয়ে তার প্রতিভা এত বেশী
লেখা হয়েছে যে সেই লেখাগুলো একত্র
করলে পাহাড়কে পাহাড় ছাড়িয়ে যাবে!
.
খ্যাতির চিন্তা করে লিখে জীবনে কেউ
কখনো লেখক হতে পারে নি, লেখক হিসেবে
যারা ইতিহাসের পাতায় আজো অম্লান/
জ্বলজ্বল করে জ্বলছে তাদের জীবনের
প্রতি দিনের পাতায় পাতায় ছিল অন্যরকম
এক সাধনা,
.
কথা বলছিলাম সে প্রসঙ্গে সে প্রসঙ্গে
আসি, হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, মিডসামার
নাইটস ড্রিম সহ তার যে কোন গ্রন্থ কিনতে
গেলে আপনার যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে
জীবদ্দশায় সে এগুলো লিখে তার
কানাকড়িও পাননি কারণ তার মৃত্যুর ও
অনেক পড়ে লেখাগুলো খুঁজে গ্রন্থ আকারে
প্রকাশ করা হয়
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০১