১। এক ভদ্রমহিলা ফার্মেসীতে যেয়ে ফার্মেসিস্টের চোখে চোখ রেখে খুব ঠান্ডা গলায় মার্জিতভাবে বলল 'আমি কিছু সায়ানাইড কিনতে চাই'
ফার্মেসিস্ট বিস্ময়ে হতবাক
'সায়ানাইড দিয়ে আপনি কি করবেন'
'আমার হাসবেন্ডকে খাইয়ে খুন করব' - ঠান্ডা গলায় মহিলার উত্তর
চুড়ান্ত উত্তেজিত ফার্মেসিস্ট 'আমি আপনাকে দিতে পারব না। এটা আইন বিরুদ্ধ, আমরা দুইজনেই জেলে যাবো, আমার লাইসেন্স বাতিল হয়েযাবে, আমাদের পরিবার ধংস হয়ে যাবে, আমি কিছুতেই এটা করব না'
ভদ্রমহিলা তার ব্যাগ থেকে একটা ফটো বের করে তার হাতে দিলো, বিছানায় এক জোড়া কাপল, লোকটিকে না চিনতে পারলেও এক মুহুর্তে ফার্মেসিস্ট ফটোতে তার বউকে চিনতে পারল
'আপনি আমাকে আগে বলেননি আপনার কাছে প্রেসক্রিপশন আছে' - ফার্মেসিস্টের বিরস গলা
২। মোটা একজন মানুষ মুরগীর হাড় চিবাতে চিবাতে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে আর ভাবছে জীবনে এই শরীরের জন্য কিছু করতে পারলাম না, কোনো মেয়ে ভালোবাসল না,হঠাৎ টিভির অ্যাডে চোখ আটকে গেলো।
মাত্র ত্রিশ দিনে মোটা থেকে প্রায় সিক্স ফিগার, বিফলে মুল্য ফেরত এবং যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবো।
ভদ্রলোক পরদিন সকালে ঐ কোম্পানীর অফিসে..
'স্যার আমাদের প্যাকেজ এ তিনটা ক্লাস, একটা ক্লাস পাশ করলে পরের ক্লাসে এনরোলমেন্ট করতে পারবেন, একবার এনরোলমেন্ট করলে কোনো ভাবেই টাকা ফেরত বা কমপ্লেইন করা যাবেনা, আপনি যদি রাজী থাকেন তাহলে প্রথম ক্লাসের টাকা দেন, পরদিন সকালে ইনসট্রাকশন ম্যানুয়াল আপনার বাসায় পৌছে যাবে' -- ভদ্রলোক অনিচ্ছাসত্ত্বেও টাকা দিলেন
পরদিন সকালে বেল বাজল, ভদ্রলোক বিরসভাবে দরজার দিকে যাচ্ছেন আর ভাবছেন এই সব লোহা লক্কর দিয়ে ব্যায়াম করা তার পক্ষে সম্ভব না। দরজা খুলে ভদ্রলোক বিস্ময়ে বিষম খেলেন। অতি সুন্দরী স্বল্পবসনা এক তরুনী দরজায় দাড়িয়ে, তার গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলছে 'আপনি যদি দৌড়ায়ে আমাকে ছুতে পারেন তাহলে আমি আপনার'
জীবনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করলো লোকটি, বুক হাপড়ের মত উঠানামা করছে, কত কিলো দৌড়েছেন জানেন না। মেয়েটা শেয পর্যন্ত বেশী দুর ছিলোনা।
পরদিন সকালে লোকটি অফিসে যেয়ে বলল 'আমি এই মুহুর্তে পরের কোর্সে ভর্তি হতে চাই।'
স্যার এই কোর্সটা একটু কঠিন, আপনি কি পারবেন, অনেক ভেবে উত্তর দিন। স্বপ্নে বিভোর লোকটি ভর্তি হয়ে চলে আসলেন।
পরদিন সকালে বেল বাজল, লোকটি দৌড়ে দরজা খুলতেই দরজায় দাড়িয়ে আরেকজন ডানা কাটা পরী, আগের জনের থেকে বেশী সুন্দর। গলায় সেইম প্ল্যাকার্ড।
দৌড়াতে দৌড়াতে লোকটির মারা যাবার মত অবস্হা, অল্প মাত্র এক হাতের মত গ্যাপ ছিলো, পারল না। আফসোস
পরদিন সকালে অফিস খোলার আগেই লোকটি বাইরে দাড়িয়ে আছে, উনি ফাইনাল কোর্সে ভর্তি হাবে।
'স্যার এই কোর্স সবচেয়ে ভয়ংকর, আপনি কোনো মতেই পারবেন না, আপনি বাদ দেন"
লোকটার কনফিডেন্স সেই লেভেলে, বাসায় ফেরার পথে ভাবছে, গতবার এক হাত দুরত্ব ছিলো, এবার আর হবেনা, এবার পারবোই। উত্তেজনায় সারা রাত ঘুম নেই। সকালে বেল বাজা মাত্র আলোর গতিতে দরজা খুললো
দরজায় দাড়িয়ে এক বিশাল মাসলম্যান, গলায় প্ল্যাকার্ড 'আমি যদি আপনাকে ধরতে পারি তাহলে আপনি আমার'
ভদ্রলোক ১০ কেজি ওজন হারালেন
৩। কর্মচারীর কাছে দোকান রেখে কিছুক্ষনের জন্য বাইরে যাওয়া ফার্মেসীষ্ট নিজের দোকানে ঢোকার পথে দেখলেন বাইরে গেটে হেলান দিয়ে এক ভদ্রলোক কোনো রকমে দাড়িয়ে আছেন, চুল, চেহারা যেন যুদ্ধের ধংষস্তুপ থেকে উঠে এসেছেন, চোখ আধাবোজা, কোনো রকমে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন।
'ঐ লোকটা ওভাবে দাড়িয়ে আছেন কেনো, ওনার কি হয়েছে' - কর্মচারীকে প্রশ্ন'
ওনার তীব্র কাশি হয়েছিল, এসে ওষধ চেয়েছিলো, আমি জোলাপ দিয়ে দিয়েছি।
ফার্মেসীষ্ট চিৎকার আর আর্তনাদে দুনিয়া কাপছে 'হারামজাদা , তুই করছোস কি? ঐ হারামী, কাশির ওষুধ কি জোলাপ?'
কর্মচারী ঠান্ডা গলায় বললো " খামোখা চ্যাতেন ক্যান, দ্যাখেন না হে ভয়ে আর কাশে না'
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭